হোয়াটসঅ্যাপে আপনি কার সঙ্গে কথা বলছেন, সেটা আপনি এবং যাকে পাঠাচ্ছেন তিনি ছাড়া আর কেউ জানবে না। এমনকি হোয়াটসঅ্যাপ নিজেও এই বার্তাগুলো বুঝতে পারবে না। কারণ গোপন সংকেতে এগুলো লুকিয়ে রাখা হয়। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের ‘অ্যান্ড টু অ্যান্ড এনক্রিপশন’ সুবিধা দিয়ে থাকে।

এর পরও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা বিভিন্নভাবে হ্যাকিংয়ের শিকার হতে পারেন। আপনি যদি সন্দেহ করেন, কেউ হোয়াটসঅ্যাপে আপনার ওপর নজর রাখছে এবং আপনি আরও নিরাপদ থাকতে চাচ্ছেন, তবে নিচের এই পাঁচটি সেটিংস চালু রাখুন।

প্রথমে দেখতে হবে আপনি যার সঙ্গে কথা বলছেন তার চ্যাট বা বার্তাগুলো ‘এনক্রিপ্টেড’ আছে কিনা। এটি যাচাই করার জন্য, চ্যাট করার সময় থ্রি ডটস অপশনে ক্লিক করতে হবে। এর পর ‘ভিউ কনট্যাক্ট’থেকে ‘এনক্রিপশন’মেনুতে গিয়ে সবুজ রঙের তালা (লক) চিহ্ন দেখলে বুঝতে হবে চ্যাটটি নিরাপদ আছে।

আপনি যদি চান কাউকে পাঠানো বার্তাগুলো আপনা আপনি হোয়াটসঅ্যাপ থেকে মুছে যাক, সেটিও করা যাবে। সে জন্য আবারও থ্রি ডটস অপশনে গিয়ে ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজে ক্লিক করতে হবে। সেখান থেকে নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে দিলেই, বার্তাগুলো নির্ধারিত সময়ের পর হোয়াটসঅ্যাপ থেকে মুছে যাবে।

আপনি যদি আরও নিরাপদ হতে চান তবে হোয়াটসঅ্যাপের বার্তাগুলো যেখানে সংরক্ষিত (ব্যাকআপ) রাখা হয় সেখানেও ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন’ চালু করতে পারবেন। ফলে গুগল ও অ্যাপলের মতো প্রতিষ্ঠানও আপনার বার্তাগুলো দেখতে পাবে না। এটি চালু করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংস থেকে চ্যাটস অপশনে যেতে হবে। এরপর চ্যাট ব্যাকআপ-এ গিয়ে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন একটি পাসওয়ার্ড দিয়ে চালু করা যাবে। তবে মনে রাখবেন, এই পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে গুগল থেকে তথ্য ফিরে পাওয়ার আর কোনো উপায় নেই।

চাইলে যার সঙ্গে কথা বলছেন তার চ্যাট লক করে রাখা যাবে। এর ফলে কেউ আপনার ফোন হাতে পেলেও আপনার পাঠানো বার্তাগুলো পড়তে পারবে না। এটি করার জন্য ভিউ কনট্যাক্ট-এ গিয়ে চ্যাট লক অপশন চালু করতে হবে। এর পর হোয়াটসঅ্যাপের পর্দায় (হোমস্ক্রিন) লকড চ্যাট নামের একটি মেন্যু চলে আসবে। চ্যাট করার জন্য প্রতিবারই সেখানে লক খুলে ঢুকতে হবে।

আপনি যদি হোয়াটসঅ্যাপে অচেনা নম্বর থেকে কল আসা বন্ধ করতে চান, তবে হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংস থেকে প্রাইভেসি অপশনে যেতে হবে। সেখান থেকে সাইলেন্স আননোন কলার চালু করে দিলেই অপরিচিত নাম্বার থেকে আসা কল বন্ধ করে দেবে হোয়াটসঅ্যাপ।

বার্তাবাজার/এম আই