সাতক্ষীরা সদরের ফিংড়ী গ্রামের ৮ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী রুমি খাতুনকে অপহরণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার(২৬ এপ্রিল) রুমির বাবা ফজর আলী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের সংশোধিত ধারার (অপহরণ ও অপহরণের সহায়তা) ধারায় মামলটি রুজু করেছে সাতক্ষীরা সদর থানা।

এরআগে, বৃহস্পতিবার(২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ৯৯৯ এর কল পেয়ে দক্ষিণ ফিংড়ি এলাকা থেকে অপহৃত স্কুল শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে পুলিশ।

মামলার আসামীরা হলেন, দক্ষিণ ফিংড়ি গ্রামের আব্দুর রশিদ ঢালীর ছেলে শাহরিয়ার হোসেন রাজ, মৃত আব্বাজ ঢালীর ছেলে আব্দুর রশিদ ঢালী, রশিদ ঢালীর স্ত্রী রাফিজা খাতুন ও মৃত আব্বাজ ঢালীর ছেলে শহিদ ঢালী অরফে ছোট খোকন।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ১নং আসামী শাহরিয়ার রাজ বিগত অনুমান পাঁচ মাস আগে ভুক্তভোগীর বাড়িতে টাইলস্ এর কাজ করতে এসে সু-কৌসলে মোবাইল নম্বর নিয়ে নেয়। মোবাইল বাড়িতে থাকার কারনে উক্ত ১নং আসামী প্রায় সময় নাবালিকা মেয়ে মোছাঃ রুমি খাতুন (১৫) এর কাছে ফোন করে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক্য স্থাপন করে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত অনুমান ১টার দিকে ১নং আসামী রুমি খাতুনকে ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। রাত দেঢ়টার দিকে রুমির বাবা মা ঘুম থেকে উঠে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে আশেপাশে খোঁজ খবর নেন। উক্ত আসামীগদের বিরুদ্ধে সন্দেহ হওয়ায় আসামীদের বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে খোঁজার এক পর্যায় দেখতে পাই যে, নাবালিকা মেয়ে ৩নং আসামীর বসত ঘরে তালাবদ্ধ অবস্থায় রহিয়াছে। তখন মেয়েকে নিজ বাড়িতে আনিতে চাহিলে, ৪নং আসামীর হুকুমে ২ ও ৩নং আসামী রুমির বাবা মাকে অকথ্য ভাষঅয় গালিগালাজ করা সহ মেয়েকে না দিয়ে অপহরন কাজে সহযোগিতা করে এবং মারপিট করার জন্য উদ্যত হয়। উপায়ন্তর না দেখে রুমির পরিবার ৯৯৯ এ ফোন করে ঘটনার বিষয়ে জানিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চাই। অতঃপর ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির কর্তব্যরত অফিসার ও সঙ্গীয় ফোর্স উক্ত আসামীগণের বাড়িতে গিয়ে উক্ত ৩নং আসামীর বসত ঘর থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় মেয়েকে দেখতে পেয়ে সেখান থেকে রুমি খাতুনকে উদ্ধার করে। উদ্ধারের পরে মেয়েে মুখে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারি। এ বিষয়ে অপহরণের দায়ে থানাতে মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা নং ৪৯।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মহিদুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।