সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের নানা জটিলতার সমাধানের অপর নাম সাহেদ। প্রবাস জীবনে নিজের চাকুরির পাশাপাশি অল্প সময়ে ফেসবুকের বিভিন্ন জটিলতার জাদুকরী দক্ষতা অর্জন করেছেন মোহাম্মদ সাহেদ। ইতোমধ্যে দেশের অনেক ব্যক্তিদের হ্যাক হওয়া ফেসবুক একাউন্ট রিকভারি করে প্রকৃত মালিকের কাছে ফেরাতে সক্ষত হয়েছে তিনি। শুধু একাউন্ট হ্যাক থেকে রক্ষা নয়, তিনি কাজ করেন ভার্চুয়াল জগতের সকল বিষয় নিয়ে। সোস্যাল মিডিয়ার যে বিষয়গুলোতে জাদুকরী দক্ষতা অর্জন করেছেন প্রবাসী এই যুবক তার মধ্য রয়েছে, ফেসবুক ব্লু ভেরিফাইড, ডিজেবল রিকভার, পেইজ ও প্রোফাইল হ্যাক রিকভার, কন্টেন্ট টেকডাউন রিকভার, সোস্যাল মার্কেটিং প্রমোট, প্রফেশনাল ফেসবুক পেইজ সেটআপ , কপিরাইট স্ট্রাইক রিমুভ, তাছাড়া স্পেশাল ব্লু ভেরিফিকেশন বিষয়ে রয়েছে বিশেষ দক্ষতা।

মোহাম্মদ সাহেদ কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুনবতী গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে। অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালিন অর্জন করেন কম্পিউটার হার্ডওয়্যারের উপরে বিশেষ দক্ষতা। শৈশব থেকে সাহেদের স্বপ্ন ছিলো হ্যাকিং সহ ভার্চুয়াল জগতের সর্বোচ্চ দক্ষতা আয়াত্ত করা। তবে অল্প বয়সে ছাড়তে হয়েছে নিজ দেশ।

২০১৫ সালে মালয়েশিয়াতে প্রবাস জীবনে পাড়ি দেন মোহাম্মদ সাহেদ। প্রবাসে নিজের চাকরির পাশাপাশি অব্যাহত রাখেন ভার্চুয়াল জগতের কার্যক্রম। বিদেশী কয়েকটি আইটি খাতে সুনামের সাথে কাজ করছেন এই প্রবাসী যুবক। ধীরে ধীরে খ্যাতি অর্জন করেন সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন বিষয়ের উপর। প্রবাসে নিজের কাজের পাশাপাশি ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের এমন সফলতা ভাবিয়ে তুলেছে শুভাকাঙ্ক্ষীদের।

সাহেদের পরিকল্পনা রয়েছে, সুযোগ পেলে দেশে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চান তিনি। যেখানে হাতে কলমে কাজ শেখাবেন দেশের মেধাবী যুবকদের। গ্রাফিক্স থেকে শুরু করে ভার্চুয়াল সকল কাজের উপরে দক্ষতা আনতে সহায়ক হওয়ার প্রবল স্বপ্ন রয়েছে তার মাঝে।

সাহেদের বাবা জাহিদুল ইসলাম জানান, ছোট বেলা থেকে সাহেদের কম্পিউটার ও অনলাইন বিষয়ক কাজের প্রতি বেশ দক্ষতা ছিলো। দেশে থাকাকালীন সময়ে পড়াশোনার পাশাপাশি কম্পিউটারের হার্ডওয়ার গ্রাফিক্স সহ নানাবিধ বিষয়ে অল্প সময়ের মধ্যে দক্ষতা অর্জন করে। পরবর্তীতে মালয়েশিয়াতে গিয়ে সেখানে নিজের চাকরির পাশাপাশি অনলাইনের এই কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বর্তমানে সে অনলাইন প্লাটফর্মে ভালো একটি স্থান তৈরি করেছে। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে যুব সমাজকে অনলাইন এর উপকারী বিষয়বস্তু নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী করতে হবে। সেই কল্পে সাহিদের ইচ্ছা রয়েছে দেশে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার।

গুনবর্তী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা জানান, বর্তমান যুগটা আধুনিকতার ছোঁয়ায় পাল্টে গেছে জীবনযাত্রা। আমার গ্রামের ছেলে সাহিদ প্রবাস জীবনে থেকেও অনলাইনের প্রতি যে অধীর আগ্রহ এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ অনলাইন সম্পর্কিত সকল বিষয়ে একের পর এক সফলতা মুখ উজ্জ্বল করেছে। তাকে সার্বিক বিষয়ে পরামর্শ সহ সহযোগিতা করা হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় জাদুকর খ্যাত মোহাম্মদ সাহেদ বলেন, শৈশব থেকে স্বপ্ন ছিল অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করা। তবে মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোতেই পাড়ি জমাতে হয় প্রবাসে। এথিক্যাল হ্যাকিং শেখার আগ্রহ থেকে এ যাত্রার আরম্ভ হয়। স্পেশাল কৌশলে ফেসবুক ব্লু ভেরিফিকেশন সহ সোশ্যাল মিডিয়ার সামগ্রিক কাজের সফালতার মাধ্যমে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ভালো অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান যুগটা আধুনিকতার ছোঁয়ায় চলছে অনলাইন ভিত্তিক হয়ে গেছে মানুষের জীবনযাত্রার সামগ্রিক কর্মকাণ্ড। বাস্তবতার চেয়ে ভার্চুয়াল জগতে মানুষ বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। তাই নিজ জন্মভূমির জন্য কিছু করার প্রত্যয় রয়েছে, স্বপ্ন রয়েছে অনলাইন প্লাটফর্মে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করবো যুবসমাজকে। যারা সোশ্যাল মিডিয়ার সহ অনলাইনের যাবতীয় কার্যক্রম শিখে অর্থ উপার্জন করে সাবলম্বী হতে চায় তাদেরকে বিনামূল্যে শেখার সুযোগ তৈরি করবো।