বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে যে দেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, সেটা তিনি নিজেই প্রমাণ করেছেন। তার নির্বাচনে বিরোধী দল থাকে জেল খানায়। নির্বাচনী মাঠ শূণ্য করার জন্য একের পর এক পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়। ভোটাদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয় না। তাই, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে হবে।

আজ শনিবার ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে দক্ষিণ কেরাণীঞ্জের জিনজিরায় পদযাত্রা পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় এই সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখে জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন মাস্টার, তমিজউদ্দিন, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু। সমাবেশ শেষে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও তার উন্নত চিকিৎসার দাবিতে বিএনপি এবং অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের অংশগ্রহনে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার অনুমতি দিচ্ছেন না কেন? তিনি যদি উন্নত চিকিৎসার জন্য যান সেখানে চিকিৎসায় ধরা পড়তে পারে কারাগারে বন্দী রাখা অবস্থায় তার খাবারে বিষ মিশানো হয়েছিল কিনা। বিদেশে উন্নত ল্যাবে এটা ধরা পড়তে পারে। এই কারণেই দেশনেত্রীকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, আমাদের ধারনা হয়, আশঙ্কা হয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে শেষ করার জন্য ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগে তাকে কারাগারে নেওয়া হয়েছিল। কারণ শেখ হাসিনার এক তরফা নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে বড় ভয় ছিল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। পথের কাটা দূর করতে, নির্বাচনী মাঠ শূণ্য করতে রাষ্ট্র শক্তি ব্যবহার করে, আইন আদালত ব্যবহার করে বন্দি করা হয়েছিল।

যে সুস্থ মানুষটি কারাগারের ভেতরে গেলেন, আজকে তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে কেন? কারণ, শেখ হাসিনার বিরাট চক্রান্ত বেগম খালেদা জিয়াকে দুনিয়ে থেকে তুলে দেওয়া হবে। উনি যে রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী এক দল থাকবে , এক নেত্রী থাকবে। কেউ কোনো সত্য উচ্চারণ করবে না। যে করবে তার সে গুমের শিকার হবে বা বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার হবে। এই কারনেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছেন।

বার্তা বাজার/জে আই