২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে পুলিশী হামলায় মারাত্মক আহত হয়ে দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ৪১ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি জামান মল্লিককে দেখতে গেলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালাম এবং সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।

আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে পুরান ঢাকার ধোলাইখালস্থ জামান মল্লিকের বাসভবনে আসেন তারা।

এসময় সালাম বলেন, আন্দোলন চলমান আছে।জামানও এ আন্দোলনের শিকার। সরকারের পেটুয়া বাহিনী একাধিকবার জামান মল্লিকের ওপর হামলা চালিয়েছে। এরকম হাজারো জামান মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন। আজকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেও তারা আবার ঘুরে দাড়িয়েছে। শহীদ জিয়ার সৈনিকেরা মৃত্যুকে জয় করতে শিখেছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে তারা শহীদ হতে প্রস্তুত।

তিনি বলেন, আজকে সাজানো মামলায় নেতাকর্মীদের জেলে নেওয়া হচ্ছে। আমাদের নেতাকর্মীরা হাসিমুখে জেলে যাচ্ছেন। জেল নিয়ে তাদের কোনো চিন্তা নেই। তাদের চিন্তা ও চেতনা জনগণকে বম্দীদশা থেকে মুক্তি দেওয়া। আর এই মুক্তির আন্দোলনে নেতাকর্মীদের যে মনোবল আমরা দেখেছি, সেই মনোবলই আমাদের যুদ্ধে জয়ী হবার বড় হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে।

মজনু বলেন, অত্যাচারিত হতে হতে বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী ইস্পাতে পরিনত হয়েছে। এই ইস্পাতের আঘাতে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাবে এই স্বৈরশাসক গোষ্ঠী। এখন প্রয়োজন সময় মতো আঘাত করা। এরজন্য সকলকে সেইভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে। তারেক রহমানের নির্দেশের অপেক্ষায় থাকতে হবে। ভেঙে ফেলতে হবে বন্দীশালা, মুক্ত করতে হবে গণতন্ত্রকে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস সাত্তার, দপ্তরের দায়িত্বে ও সদস্য সাইদুর রহমান মিন্টু, বিএনপি তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরের কর্মকর্তা মাহফুজ কবির মুক্তা, ৪১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফরহাদ হোসেন মুকুল, ৩৮ নং ওয়ার্ড সভাপতি মাহফুজার রহমান মনা, ওয়ারী থানার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কে এস টমাস, গেন্ডারিয়া থানার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ঢালী মামুনুর রশীদ অপু, ৪০ নং ওয়ার্ড সভাপতি মাহবুবুর রহমানসহ মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।