সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সম্পাদকের কক্ষে ভাঙচুরের অভিযোগে বিএনপিপন্থী ১৮ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহকারী সুপাররিনটেনডেন্ট মো. রফিকুল্লাহ বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।

মামালায় বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলামসহ ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এর আগে, দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এ সময় সুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদকের (আওয়ামীপন্থি) কক্ষ ভাঙচুর ও নেমপ্লেট খুলে নেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন আইনজীবী বলেন, দুপুর দেড়টায় তারেক রহমানের ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের রায়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। সংবাদ সম্মেলন শেষে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন এবং সরকারের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। অন্যদিকে বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরাও বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। একপর্যায়ে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে দুই পক্ষ আইনজীবী সমিতি ভবনে সভাপতি-সম্পাদকের কক্ষের সামনে মুখোমুখি হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক আব্দুন নূর দুলালের কক্ষ ভাঙচুর ও নেমপ্লেট খুলে নেওয়া হয়। একই সঙ্গে বার সভাপতির কক্ষেরও নেমপ্লেট খুলে ফেলা হয়েছে।

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুন নূর দুলাল বলেন, বিএনপির ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, কায়সার কামাল, কাজল ও সজলের নেতৃত্বে আমাদের আইনজীবীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। তারা সমিতির সভাপতি-সম্পাদকের কক্ষ ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনায় আমরা মামলা দায়ের করব।

অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপির ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আমরা সংবাদ সম্মেলন করে বের হওয়ার সময় আওয়ামী লীগপন্থীরা এক নারী আইনজীবীর ওপর হামলা করেন। তাকে উদ্ধার করতে গেলে তারা আরও মারমুখী আচরণ করেন। তারা নিজেরাই সম্পাদকের কক্ষ ভাঙচুর করে আমাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।

বার্তাবাজার/এম আই