উপনির্বাচনে হামলা পরবর্তী ঘটনাবলী নিয়ে বিভিন্ন দূতাবাসে ইমেইল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা- ১৭ আসনের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। আজ রোববার ইনডিপেনডেন্ট ডিজিটালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমনটি জানান।

হিরো আলম বলেন, আমার ওপর হামলার ঘটনায় জাতিসংঘ, ইইউ ও আমেরিকা, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশ নিন্দা জানানোয় তাদের ইমেইল করে ধন্যবাদ জানিয়েছি। তারাতো দেখছে,যে ছেলেটাকে অন্যায়ভাবে মারা হয়েছে। এছাড়া আজকে যে আপিল করেছি সে বিষয়টিও তাদের জানানো হয়েছে।

সরকারের ফাঁদ এড়াতে ইমেইলের মাধ্যমে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে জানিয়ে এ কনটেন্ট ক্রিয়েটর বলেন, আমেরিকা দূতাবাসসহ অনেক জায়গায় ইমেইল পাঠিয়েছি। আমেরিকা দূতাবাসে ইমেইল করলে অনেকেই তা পেয়ে যায়। সরকার ফাঁদে ফেলার জন্য অনেক কিছু করছে। তাই আমি যা করছি ইমেইলের মাধ্যমে করছি। আমি সরকারের সঙ্গে বিরোধে যেতে চাই না, আমি কোনো দলের হয়ে কাজ করতে চাইনা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হিরো আলম এ ইমেইলগুলোর মাধ্যমে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের সাক্ষাৎ চেয়েছেন।

হামলার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে সাক্ষাৎকারে আশরাফুল আলম বলেন, ‘নির্বাচনে সহিংসতার কারণে অনেক মায়ের বুক খালি হচ্ছে । এ ধরনের ঘটনা যাতে না হয়, ভোটের পরিবেশ যাতে সুষ্ঠু হয় এমন পরিবেশ দেখতে চাই।’

অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতি চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে সাক্ষাৎকারে হিরো আলম বলেন, ‘জনগণের সেবার জন্য আমি রাজনীতি করছি। আমি আগেই বলেছি মিডিয়া নিয়ে থাকতে চাই আবার রাজনীতি নিয়েও থাকতে চাই।’

গত ১৭ জুলাই ভোটের সময় বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে যান হিরো আলম। সেখানে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এই নির্বাচনে ১২৪ কেন্দ্রে ১১ দশমিক ৫১ শতাংশ ভোট পড়ে। ২৮ হাজার ৮১৬ ভোট পেয়ে জয়ী হন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিরো আলম পান ৫ হাজার ৬০৯ ভোট।

বার্তাবাজার/এম আই