কৃষকশ্রমিক জনতালীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি মানুষের ভোটাধিকার আদায়ের সম্মানে গামছা মার্কায় দাঁড়িয়েছি। এই মার্কা বাসাইল-সখীপুরের মার্কা। এটা আমার একার মার্কা নয়। বর্তমান প্রার্থী নৌকা মার্কার, নৌকা তো একটা জিনিস। নৌকা চালাতে মাঝি মাল্লা লাগে, একটা মাঝি-মাল্লাও নেই। সব নেমে গেছে গা, নৌকা এমনিই তলিয়ে যাবে।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের বাসাইল বাসস্ট্যান্ড চত্বরে নির্বাচনী পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি সকালে এক কথা, বিকেলে অন্য কথা বলতে শিখিনি। যে কয়দিন বেঁচে থাকব, কাউকে ভয় করে বেঁচে থাকব না। আল্লাহ-রাসুলকে ভয় করে একদিন বেঁচে থাকলে এটাই আমার কাছে শ্রেষ্ঠ বাঁচা হবে। কোনো শক্তিধরের কাছে মাথা নত করে এক শ বছর বাঁচার চাইতে আল্লাহ রাব্বুলের ভরসায় একদিন বাঁচা, আমার কাছে বড় কাজ।

বঙ্গবীর আরও বলেন, ‘কালকে নাকি এখানে (আওয়ামী লীগ) প্রার্থীর সভা হয়েছে। হাতে পায়ে ধরে ভোট চেয়েছে। আজকে পায়ে ধরবে, ভোট শেষে ঘাড়ে ধরবে। আমি পায়ে ধরে ভোট চাইব না, জীবনে ঘাড়েও ধরি নাই। আমার এই বয়সে ঘাড়ে ধরতেও চাই না।’

তিনি বলেন, আমি আমার বড় ভাইকে (আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী) দেখে রাজনীতিতে এসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে পেয়েছিলাম। আর বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে আমি এই দেশকে, দেশের মাটি ও মানুষকে ভালোবাসতে শিখেছি। আমার কাছে মা যেমন, মাটিও তেমনি।

টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের প্রার্থী কাদের সিদ্দিকীর নির্বাচনী পথসভায় সভাপতিত্ব করেন বাসাইল পৌরসভার মেয়র রাহাত হাসান টিপু। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য মনসুর আল মামুন আজাদ সিদ্দিকী, কাদের সিদ্দিকীর সহধর্মিনী নাসরিন সিদ্দিকী, বড় মেয়ে ব্যারিস্টার কুঁড়ি সিদ্দিকী প্রমুখ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা কৃষকশ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম খান ও উপজেলা যুব আন্দোলনের সভাপতি জাহাঙ্গীর বিন জাফর।

বার্তাবাজার/এম আই