গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সরকারি বাসভবনে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।

এই ন্যক্কারজনক ঘটনার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি পদে অধিষ্ঠিত কোনো ব্যক্তি শুধু একজন ব্যক্তি নন, তিনি একটি সাংবিধানিক ইনস্টিটিউশন এবং তিনি বিচার বিভাগের অভিভাবক। তার সরকারি বাসভবনে আক্রমণ অর্থ পুরো বিচার বিভাগের ওপর আক্রমণ এবং আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাকে বাধাগ্রস্ত করার হুমকি প্রদর্শন। কোনো সভ্য গণতান্ত্রিক দেশের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে আক্রমণ ও ভাঙচুর চালানোর ঘটনা নজিরবিহীন।

তিনি বলেন, গত ২৮ অক্টোবর তারিখে ঢাকায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশের প্রতিশ্রুতি দিয়েও বিএনপি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এদিন মহাসমাবেশের আড়ালে বিএনপির তাণ্ডব লীলার মাধ্যমে আবারও তাদের সেই পুরোনো চেহারা ফুটে উঠেছে। তারা আগের মতই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর ঘৃণ্য হামলা চালিয়েছে এবং পুলিশের একজন সদস্যকে বর্বরোচিতভাবে হত্যা করেছে। আমি এই ঘৃণ্য অপরাধের তীব্র নিন্দা জানাই। সেইসঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের যে কোনো কর্মসূচির বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকার আহবান জানাই।

আইনমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেন, আগামীতে রাজনৈতিক কর্মসূচির আড়ালে দেশে আর কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। জনগণের জানমালের সুরক্ষা ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সরকার কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বার্তাবাজার/এম আই