মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।

তিনি বলেন, দায় মাথায় নিয়েই কাজ করতে হবে। ওষুধ ও হার্টের রিং, উভয়ের দাম নির্ধারণে বৈঠক বসেছে। তবে দাম কমাতেই হবে।

সামন্ত লাল সেন বলেন, অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে, যে কোনোদিন মন্ত্রী হিসেবে যে কোনও হাসপাতাল-ক্লিনিকে অভিযানে যাব আমি। অবৈধ প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে চিকিৎসাসেবা নেওয়া মানুষের ভোগান্তি। তাই ভুল জায়গায় চিকিৎসা নেওয়ার চেয়ে চিকিৎসা না নেওয়া ভালো। সঠিক জায়গায় চিকিৎসা নেওয়া উচিত।

এদিকে একই দিন সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে হৃদরোগীদের স্ট্যান্ট নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যসচিব জাহাঙ্গীর আলম জানান, স্ট্যান্টের (হার্টের রিং) দাম আগে যা ছিল, বৈঠকে আলোচনা করে তাই রাখা হয়েছে। যে কোনও আমদানি পণ্যে লাভ করতে গেলে একটা মার্কার প্রাইস দিতে হয়। তাদের প্রশাসনিক খরচ, ভ্যাট ও ট্যাক্স মিলিয়ে মার্কার প্রাইস এক দশমিক দুই শতাংশ নির্ধারণ করা আছে। আমদানি মূল্যের সঙ্গে এটা যুক্ত করা আছে।

স্বাস্থ্যসচিব জানান, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সমন্বয় করে এই দাম নির্ধারণ হয়েছিল উল্লেখ করে সচিব বলেন, যারা স্ট্যান্ট ব্যবহার করছেন, তাদের ওপর যেন বাড়তি কোনো চাপ না পড়ে, অস্বাভাবিক দামে কিনতে না হয়, এমন বিষয়গুলো সমন্বয় করে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। অংশীজনদের জানানো হয়েছে যে, স্ট্যান্টের দামের বিষয়ে সরকার যেমন জনগণের স্বার্থ দেখছে, তেমনই ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখবে।

এদিন সময়ের স্বল্পতার কারণে ওষুধের দাম নিয়ে আলোচনা করা সম্ভব হয়নি জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শুধু স্ট্যান্টের দাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বার্তা বাজার/আইএফ