চট্টগ্রামে শিশু রিকা মনি হত্যা মামলায় ১২ বছরের পলাতক আসামি নাসিরকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।
সোমবার (২৯ মে) দুপুরে বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেন র্যাব-৭ এ-র সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মোহাম্মদ নুরুল আবছার।
তিনি বলেন, লোহাগড়া ভূজপুর এলাকার বাসিন্দা দেলোয়ারা বেগম স্বামী শাহ পরানের অমানবিক নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে বিয়ের কিছুদিন পরই ২০১০ সালে স্বামীকে তালাক দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দেলোয়ারাকে হত্যার হুমকি দেয় সাবেক স্বামী। সাথে শাহ পরানের ভগ্নিপতি ও ঘটক নাসিরও দেলোয়ারার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে।
শাহপরানকে তালাক দিয়ে দেলোয়ারা তার বাপের বাড়িতে বসবাস করছিলেন। তালাক দেওয়ার কিছুদিন পর ১ এপ্রিল ভোর চারটার দিকে শাহ পরান তার ভগ্নিপতি নাসিরসহ শ্বশুরবাড়িতে ঢুকে স্ত্রী দেলোয়ারাকে ছুরিকাঘাত করে। এসময় তার চিৎকারে ছেটবোন ফারহানা ইয়াছমিন ওরফে রিকা মনি ও তার মা জেগে উঠে শাহ পরানকে বাধা দিলে রিকা মনিকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় রিকা মনি৷ এসময় তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে হাতে থাকা ছুরি ও একটি ব্লেড রেখে পালিয়ে যায় শাহ পরান ও তার ভগ্নিপতি। পরবর্তীতে প্রতিবেশীরা দেলোয়ারা বেগমকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এই ঘটনায় দেলোয়ারার মা বাদী হয়ে শাহ পরান ও নাসিরকে আসামি করে ভূজপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে শাহ পরানকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও জামিনে বের হয়ে পলাতক ছিলেন। ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল এই মামলায় শাহ পরানকে মৃত্যুদণ্ড ও নাসিরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন নাসির। গত ২৬ মে রাউজানের নোয়াপাড়া থেকে শাহ পরানকে গ্রেফতার করে র্যাব-৭। যার দুইদিন পর ২৮ মে লোহাগাড়ার চুনতি এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাসিরকেও গ্রেফতার করা হয়।
তাদের দুজনকেই সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং আগামীকাল আদালতে হাজির করা হবে।
বার্তাবাজার/এম আই