নোয়াখালীর হাতিয়ার পূর্ব পাশে বঙ্গোপসাগরে চট্টগ্রাম থেকে কংক্রিট নিয়ে ঢাকা যাওয়ার পথে এমভি মৌমনি নামে একটি কার্গো জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে হাতিয়ার ইসলাম চরের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জাহাজের ১১ নাবিক উদ্ধার হলেও জাহাজের মাঝির সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি।

দুর্ঘটনার পরপরই নাবিকরা ৯৯৯ এ কল দিয়ে সহযোগিতা চায়। পরে ৯৯৯ থেকে হাতিয়া নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডকে সহযোগিতার জন্য বলা হয়। দুপুর ২টার দিকে হাতিয়া কোস্টগার্ড ও নলচিরা নৌ-পুলিশের দুটি টিম উদ্ধার করার জন্য হাতিয়ার নলচিরা ঘাট থেকে রওনা হয়। প্রবল ঝড়ের কারণে নলচিরা নৌপুলিশ মাঝ পথ থেকে ফিরে আসলেও কোস্টগার্ড ঘটনাস্থলের দিকে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যায়।

নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মেহেদী জামান জানান, ঘটনাটি ঘটেছে সাগর মোহনায়। আমাদের হেভী যানবাহন না থাকায় আমরা একটি ট্রলার নিয়ে ঘটনাস্থলের দিকে এগুচ্ছিলাম কিন্তু সাগর খুব উত্তাল থাকায় ঘটনাস্থলে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।

এদিকে হাতিয়া কোস্টগার্ডের একটি টিম বিকেল সাড়ে ৪টায় ঘটনা স্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে। মোবাইলে তাদের সাথে যোগাযোগ করলে জানা যায়, সাগরে অবস্থানরত জেলেরা ১১জন ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজের ভাসমান নাবিকদের উদ্ধার করে চট্টগ্রামগামী মালবাহী অন্য একটি জাহাজে তুলে দেয়। তবে ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজের মাঝির কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ মাঝির উদ্ধারে কোস্টগার্ডের হাতিয়া কন্টিজেন্ট কমান্ডার সেলিম মন্ডলের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি টিম উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ বাপারে জাহাজের মালিক পক্ষের একজন মোহাম্মদ ওহায়েদুল ইসলাম মোবাইলে জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারনে জাহাজটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ডুবে যাওয়ার প্রকৃত কারন জানা যায়নি। জাহাজে থাকা লোকজনের সাথে প্রথমে কথা বলা গেলেও মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় এখন যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তিনি আরো জানান, জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে মালমাল নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিল।