ঢাকা-১৮ আসনকে আরও প্রগতিশীল সমৃদ্ধ নগর হিসেবে গড়ে তুলবো। কারণ আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধামুক্ত, উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার আন্দোলনে জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে কাজ করে গেছি এবং ভবিষ্যতের নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করতে চাই। তাই মডেল নগরী রাজধানী উত্তরার উন্নয়নে আমার চেষ্টা থাকবে সর্বোচ্চ।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর এলাকায়
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা-১৮ আসনের নির্বাচনে ‘কেটলি মার্কার’ স্বতন্ত্র প্রার্থী খসরু চৌধুরী সিআইপি তার নির্বাচনী গণসংযোগকালে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ভোটের মালিক জনগণ। তারা যদি আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তাহলে আমি সর্বোচ্চ নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে সকলের মতামত নিয়ে কাজ করবো। শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে যাবতীয় সুযোগ কাজে লাগিয়ে উত্তরাকে ঢাকার মডেল নগরী হিসেবে গড়ে তুলবো।
পরে তিনি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১নং ওয়ার্ড হাউজ বিল্ডিং, আজমপুর, রাজলক্ষ্মী ও জসিমউদ্দিন এলাকায় গণসংযোগ চালান।
এসময় তার গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফসার উদ্দিন খান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য কাজী সালাউদ্দিন পিন্টু, আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম খানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ সহ দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী।
খসরু চৌধুরী আরও বলেন, ঢাকা-১৮ আসনের মার্কেট গুলোতে পকেট কমিটি বিলুপ্ত করে গণতান্ত্রিকভাবে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।
সেক্টর কল্যাণ সমিতিগুলোতে নিয়মিত নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচন করা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে মর্নিং ওয়াক এর জন্য ওয়াক ওয়ে নির্মাণ ও মানসম্মত কমিউনিটি সেন্টার প্রতিস্থাপন করার ঘোষণাও দেন তিনি।
মার্কেট, ফুটপাত, বাসস্ট্যান্ড, অটো-লেগুনাস্ট্যান্ড, বাস টার্মিনালসহ প্রতিটি স্থান হকার ও চাঁদাবাজ মুক্ত করা হবে। প্রয়োজনে হকারদের নির্দিষ্ট জায়গা বরাদ্দ দেয়া হবে।
এছাড়া নগরে বসবাসকারী নিম্ন আয়ের মানুষদের নিয়মিত সরকারি ও বেসরকারি সাহায্য সহযোগিতাও করা হবে বলে জানান খসরু চৌধুরী।