কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় গুরুত আহত হয়েছেন আওয়ামী লীগের এক নেতা।

সোমবার (২২ মে) বিকেলে পৌর সদর বাজারের মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এছাড়াও হামলায় আলফাজ নামে এক নেতা আহত হয়েছে।

হামলায় আহত মো. শহিদুল ইসলাম উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। এছাড়াও হামলায় উপজেলার নারান্দী নরপুরের আলফাজ নামে একজন আহত হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিনের সমর্থক পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায় ভিপি ফরিদ উদ্দিন জানান, আমাদের পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম ব্যক্তিগত কাজে পাকুন্দিয়া পৌর সদর বাজারের আসেন। এসময় বাজারের মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় এলাকায় আসলে তার পথ গতিরোধ করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের অনুসারীরা তার উপর হামলা করে। উপজেলা ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতা আরমিন মিয়া, পাপ্পু এবং ফরিদের নেতৃত্বে ৬-৭জন হামলা চালায়। সাধারণ মানুষের শহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে। তার একটি পা ভেঙে গেছে ও শরীরে কুপের গভীর ক্ষত রয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর তাই তাকে ঢাকা পুঙ্গ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা মামলা করবো। এছাড়াও হামলায় উপজেলার নারান্দী নরপুরের আলফাজ নামে একজন আহত হয়েছে। তাকে কিশোরীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, এ ঘটনায় উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় দু-পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

ছাত্রলীগ নেতা অভিযুক্ত আরমিন আহমেদ জানান, আজ সোমবার সকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে আমরা মিছিল করেছি। দুপুরে বাড়িতে গিয়ে গোসল করে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ঘুম থেকে উঠে মানুষের মুখে শুনেছি বাজারে গ্যাঞ্জাম হয়েছে। আমি বাড়িতে ঘুমিয়েছিলাম তাইলে কিভাবে হামলা করলাম। যাদের নামে অভিযোগ করা হয়েছে এসময় কেউই বাজারে ছিল না।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাহিদ হাসনা সুমন জানান, মারামারির একটু উপক্রম হয়েছিল। আমি একজনকে পয়েছি আহত হয়েছে, দেখে মনে হলো এক দুইটা সেলাই লাগবে। তবে এ বিষয়ে থানায় এখনও কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি।

বার্তাবাজার/এম আই