একটানা অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ মানুষ । হাঁসফাঁস করছে প্রাণকূল। কাঠফাটা রোদে পুড়ছে ফসলের মাঠ।

এমন তাপদাহ থেকে মুক্তি ও রহমতের বৃষ্টি বর্ষণের জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে ফরিয়াদ জানিয়ে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ৮টায় একযোগে উপজেলার ৮টি স্থানে এ বিশেষ নামাজ আদায় করা হয়। উপজেলা সদরের কেরামতিয়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে হয় প্রধান জামাত।

এই নামাজে শত শত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশ নেন। নামাজ শেষে প্রচণ্ড গরম থেকে রক্ষা পেতে সৃষ্টিকর্তার কাছে এক পশলা বৃষ্টি প্রার্থনা করে অঝোরে কেঁদেছেন মুসুল্লিরা। এ যেন উপায়ান্তহীন মানুষের সর্বশেষ প্রচেষ্টা। একটু বৃষ্টির আশায় অঝোরে কেঁদেছেন আল্লাহ তাআলার দরবারে।
মোনাজাতে মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে রহমতের বৃষ্টি বর্ষণের মাধ্যমে তাপদাহ থেকে মুক্তির জন্য এভাবেই কেঁদে কেঁদে ফরিয়াদ জানান মুসুল্লিরা।
এসময় অতীতের ভুলত্রুটির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে ইমামের সঙ্গে অঝোরে কাঁদছিলেন মুসল্লিরা। এ নামাজ ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন রাঙ্গাবালী থানা জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
নামাজ পরিচালনা শেষে তিনি বলেন, আজকে আমরা সালাতুল ইস্তিসকা অর্থাৎ পানির জন্য প্রার্থনা এই সালাতটি আদায় করলাম। দীর্ঘদিন পর্যন্ত আমাদের এই অঞ্চলে বৃষ্টি হয়না। মাঠঘাট ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। পশুপাখি খাবারের জন্য হাহাকার করছে। তাই আমরা আমাদের কৃত গুনাহের জন্য ক্ষমা চেয়ে এবং রহমতের বৃষ্টি চেয়ে সালাতুল ইস্তিসকা আদায় করছি। এই সালাত মূলত রসুল (সাঃ) এর আমলেও ছিল। তখন খরা বা অনাবৃষ্টি দেখা দেলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবাদের সঙ্গে নিয়ে সালাতুল ইস্তিসকা আদায় করতো। তখন আল্লাহ তায়ালা নামাজ কবুল করে বৃষ্টি বর্ষণ করতেন। আমরা সেই বিশ্বাস থেকেই আজকের এই নামাজ আদায় করলাম। আল্লাহ তাআলা যেন আমাদের নামাজ কবুল করে রহমতের বৃষ্টি বর্ষণ করে সেই কামনা করছি।

এছাড়াও রহমতের বৃষ্টি বর্ষণের জন্য উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ফজলুল করিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গদিঘাট ইবতেদায়ি মাদ্রাসা, মোল্লার বাজার জামে মসজিদ, খালগোড়া জামে মসজিদ, সামুদাফৎ, নেতা বাজার ও কাছিয়াবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়।