পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ওই ইউনিয়নের পুলঘাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

আওয়ামী লীগের দাবি, পরিকল্পিতভাবে বিএনপির নেতাকর্মীরা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, সোমবার আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ করার লক্ষ্যে সদর ইউনিয়নের দলীয় অফিসে রাতে প্রস্তুতি সভা করছিল নেতাকর্মীরা। এমন সময় বিএনপির ৫০-৬০জন দুষ্কৃতকারী এসে অফিসের সামনে একেএকে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে ২০-২৫ জন অফিসের ভেতরে ঢুকে ভাংচুর করে চেয়ার-টেবিল।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান মামুন বলেন, এখানে একটি শান্তিপূর্ণ সভা চলছিল এমন সময়ই আইসা একটা ককটেল বিস্ফোরণ করে এবং আমাদের নেতা-কর্মীরা আতংকিত ভয়ে এদিক ওদিক ছুটাছুটি করতে থাকে। ঘটনাটি অত্যন্ত দু:খজনক। নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বিএনপির দুষ্কৃতকারীরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের অফিসে হামলা চালিয়েছে। আমরা এ ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তবে এঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেন রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি রহমান ফরাজী বলেন, এক সপ্তাহ ধরে আমরা কেউ এলাকায় নাই । এমনকি ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারাও এলাকার বাইরে। এটা তাদের সম্পূর্ণ বানানো একটা নাটক। সম্পূর্ণ ভূয়া। আর ওটা তাদের কোন পার্টি অফিস না। ওটা মূলত একটি রেসাদ নামের এক আওয়ামী লীগ নেতার দোকান। ছোট বাইশদিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারদের এনে ভাঙচুর করছে ককটেল বিস্ফোরণ করছে। এটা করার কারণ হচ্ছে তারা এটা দিয়ে বড় একটা মামলা দায়ের করবে যাতে আমরা নির্বাচনে এলাকায় না থাকতে পারি। তারা তাদের মতো করে নির্বাচন উঠিয়ে নিবে এমন পরিকল্পনা তাদের।

এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়েছি। আওয়ামী লীগ অফিসের চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করা হয়েছে। অফিসের কাছেই ককটেল বিস্ফোরণের আলামত পেয়েছি। অবিস্ফোরিত দুইটি ককটেল উদ্ধার করেছি। দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।

বার্তাবাজার/এম আই