শরীয়তপুরে পুলিশের সামনেই কোর্ট থেকে পালিয়ে গেলেন হত্যা মামলার আসামি। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট -১ আদালতের সামনে থেকে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে হাতকড়া খুলে পালিয়ে যায় ওই আসামি। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই আসামির খোঁজ মেলেনি।

পালিয়ে যাওয়া বাবু ফকির শরীয়তপুর সদর উপজেলার পূর্ব কোটাপাড়া এলাকার মিয়া চান ফকিরের ছেলে।

শনিবার দুপুরে সদরের পালং মডেল থানার হাজত খানা থেকে তাকে আদালতে নেয় পুলিশ। তার বিরুদ্ধে পালং মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে।

আদালত সূত্র জানা গেছে, শনিবার দুপুরে ওই আসামিকে প্রিজন ভ্যানে করে পালং মডেল থানা থেকে অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে শরীয়তপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট -১ আদালতের সামনে আনা হয়। এসময় আসামিকে বুঝে নেয় কোর্ট পুলিশ। এরপর এজলাসের সামনে পুলিশের সদস্যরা আসামি বাবু ফকিরকে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কৌশলে হাতকড়া খুলে পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে যান তিনি। দুপুর থেকে আদালত চত্বরসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পায়নি পুলিশ।

মামলা, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরকীয়ার জেরে গত বুধবার রাতে ভাতের সঙ্গে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে ঘুম পারিয়ে প্রেমিক মামুন চৌকিদার তার দুই সহযোগীর হাতে তুলে দেন নড়িয়া উপজেলা জপসা গ্রামের মোহাম্মদ আলী মাদবরের স্ত্রী মুন্নী বেগম। পরের দিন বৃহস্পতিবার মোহাম্মদ আলী মরদেহ সদর উপজেলার সুজনদোয়াল এলাকার একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শুক্রবার নিহতের ভাই কেরামত মাদবর পালং মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলার আসামী বাবু ফকির গ্রেফতার করে পালং মডেল থানা পুলিশ ।

কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আলমগীর হোসেন মজুমদার বলেন, ১৬৪ জবানবন্দি দেয়ার জন্য আজ দুপুর আড়াইটার দিকে পালং মডেল থানার হাজতখানা থেকে আসামী বাবু ফকিরকে শরীয়তপুর আদালতে নেয়া হয়। জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিল বাবু ফকির। তখন কৌশলে তিনি পালিয়ে যান। পুলিশ ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় তার খোঁজ শুরু করেছে। দ্রুতই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম বলেন, পালিয়ে যাওয়ার অপরাধে আসামির বিরুদ্ধে একটি মামলা হচ্ছে। তাকে ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি তাকে অচিরেই গ্রেফতার করা হবে।