পিরোজপুরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের টেন্ডার নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মোঃ আবু সালেহ এক ঠিকাদার।

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার এমএম ট্রেডার্স এর প্রোপ্রাইটর মোঃ আবু সালেহ লিখিত অভিযোগ করেন, ইজিপি সিস্টেমের মাধ্যমে গত ১ মার্চ ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ ৭৯২৯৩৮, ৭৯৪১৬০, ৭৯৫৬৯৮, ৭৯৬৪৪৭ এবং ৭৯৬৫১২ আইডিতে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। এরপর পিরোজপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মঈনুদ্দীন আহমেদ অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে তার পছন্দের দুই ঠিকাদার মঠবাড়িয়া উপজেলার ফয়সাল এন্ড নাজমুল হক ( জেভি) ও বাগেরহাটের মেসার্স রহমত ট্রেডার্সকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য একক কাজের অভিজ্ঞতা সনদপত্রের মূল্য তিন বার পরিবর্তন করেন। এজন্য তৃতীয়বার টেন্ডারে অংশগ্রহণের জন্য কাজের অভিজ্ঞতার ধরণও পরিবর্তন করে দেন। এছাড়া তাদেরকে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে টেন্ডার দাখিলের জন্য সহযোগীতা করেন নির্বাহী প্রকৌশলী। তার সহযোগীতায় দুই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং ইউনিট স্থাপনের কাজ দেওয়া হয়েছে।

মোঃ আবু সালেহ আরো অভিযোগ করেন, প্রায় ২৫ কোটি টাকা মূল্যের কাজের শতকরা ৪ ভাগ টাকা উৎকোচ হিসেবে গ্রহন করেছেন নির্বাহী প্রকৌশলী।

টেন্ডার নিয়ে এমএম ট্রেডার্স এর প্রোপ্রাইটর মোঃ আবু সালেহর লিখিত অভিযোগের বিষয়ে পিরোজপুর জনস্বাস্ব্য বিভাগের প্রকৌশলী মোঃ মঈনুদ্দীন আহমেদের সাথে
যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ফোনে তো কথা বলা যায় না। সময় করে একদিন অফিসে আসেন,তখন সামনা সামনি বলবো, আমি এখন গাড়িতে।

বার্তাবাজার/এম আই