পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে মামিকে মধ্যযোগীয় কায়দায় নির্যাতন থানায় মামলা। উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রোববার নির্যাতিতার মেয়ে বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে ইন্দুরকানী থানায় মামলা করেন।

মেয়ে লিখন আকতার জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে আমার মা পুকুরে গোসল করে বাসায় যাবার পথে আমার ফুফু ও ফুফাতো ভাইরা অতর্কিত ভাবে মাকে মুখ বেধে ফেলে হাতুরি, লোহার রড, জিআই পাইপ দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গা পিটিয়ে জখম করে মৃত্যুপ্রায় রেখে যায়। আমরা জানতে পেরে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্ত্যবরত চিকিৎসক মাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে তিনি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। আমার বাবা প্রাবাসে থাকায় মা ও ছোট বোনকে নিয়ে বাড়ীতে থাকেন। এর আগেও একাধিকবার জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে একাধিকবার শালিশ মিমাংসাহলেও তারা তা না মেনে আমার মাকে হত্যার উদ্যোশে এ ঘটনা ঘটায় ।

অভিযুক্ত ফিরোজ হাওলাদার জানান, আমার মায়ের সম্পত্তি আমাদেরকে ভোগদখল করতে না দেয়ায় একাধিকবার স্থানীয় লোকজন নিয়ে শালিশ বৈঠক হয়েছে। আমরা এই মারামারির সাথে জড়িত নয়। আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।

ইন্দুরকানী থানার ওসি মোঃ আল মামুন জানান, উপজেলা চন্ডিপুর গ্রামের লুৎফর হাওলাদারের স্ত্রী লিলি বেগমকে নির্যাতনের অভিযোগে তার মেয়ে লিখন আক্তার বাদী হয়ে ইন্দুরকানী থানায় মামলা দায়ের করেছে। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বার্তাবাজার/এম আই