সাভারের আশুলিয়ায় হৃদয় (২০) নামে এক যুবককে অপহরণের পর হত্যা ও গুমের ঘটনার অন্যতম দুই আসামিকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

আটকরা হলেন- মো. হৃদয় খান ওরফে আকাশ (২২) ও শাহীন ওরফে বাবু (২৬)। এ ঘটনায় এ নিয়ে মোট চারজনকে আটক করা হলো।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) থেকে শুক্রবার (১৯ মে) সকাল পর্যন্ত রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকা এবং নওগাঁ জেলায় পৃথক দুটি অভিযানের মাধ্যমে তাদের আটক করে র‍্যাব-৪ ও র‍্যাব-৫ এর দুটি টিম।

র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আবদুর রহমান বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গত ৮ মে বিকেলে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন জামগড়া এলাকা থেকে মো. হৃদয় প্রতিদিনের মতো বাসা থেকে বের হয়। পরে তার আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। সেদিনই অজ্ঞাত পরিচয়ে ফোনের মাধ্যমে হৃদয়কে জীবিত ফেরত পাওয়ার শর্তে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপরহণকারীরা। নয়তো তাকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় তারা। এরই প্রেক্ষিতে হৃদয়ের বাবা নিরুপায় হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। সে সঙ্গে র‌্যাব-৪ বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেন। এতে র‌্যাব এ ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে। যার প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন এলাকায় সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করে অপহৃতের মরদেহ উদ্ধার ও অপহরণের পর হত্যা ও মরদেহ গুমের ঘটনার হোতা পরান ও বাপ্পীকে আটক করে। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে চক্রের অন্যতম আরও দুই সদস্যকে পল্লবী ও নওগাঁ থেকে আটক করা হয়।

তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। এ হত্যাকাণ্ডের হোতা পরান ও বাপ্পীসহ আটক আকাশ ও শাহীন আর্থিক সংকটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে হৃদয়কে অপহরণ করে তার পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করে আসছিলো।

মুক্তিপণের টাকা না পাওয়ায় গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হৃদয়কে হত্যা করে তারা। পরে তার মুখে বালিশচাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর সন্ধ্যায় মরদেহ বস্তাবন্দি করে সুকৌশলে ঘটনাস্থল থেকে রিকশাযোগে শ্রীপুর এলাকাধীন একটি পরিত্যক্ত ডোবায় ফেলে দেয়। পরে তারা সবাই আত্মগোপনে চলে যায়।

আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওই র‌্যাব কর্মকর্তা।

বার্তা বাজার/জে আই