ফরিদপুরের সদরপুরে চিনা বাদাম চাষ করে ভাগ্য বদলানোর চেষ্টা করছেন পদ্মার চরাঞ্চলের কৃষকরা। এ বছর শতাধিক চরে বাদাম চাষ করা হয়েছে। প্রতিটি চরেই বাম্পার ফলন হওয়ায় বাদাম নিয়ে ভাগ্য ফেরানোর স্বপ্ন দেখছেনতারা।

সদরপুরের ঢেউখালি ইউনিয়নের সয়তান খালি, নারিকেল বাড়িয়া, চরনাসিরপুর, চরমানাইর ও পিয়াজখালি এলাকার পদ্মা নদীর জেগে ওঠা চরগুলো ঘুরে দেখা গেছে, চরের পর চর জুড়ে চাষ করা হয়েছে বাদামের। প্রায় প্রতিটি চরেই বেশ ভালো ফলন হয়েছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর এই উপজেলায় ১ হাজার ৩৪৫ হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ করা হয়েছে। ঢাকা-১, বারি চিনা বাদাম-৮, ৯, বিনা চিনা বাদাম-৪ জাতের বাদাম চাষ হয়েছে। ইতিমধ্যে বাদাম তোলা শুরু হয়েছে। হেক্টর প্রতি উৎপাদন হয়েছে ১ দশমিক ৮৩ মেট্রিক টন।

ঢেউখালি ইউনিয়নের পিয়াজখালি গ্রামের মোসলেম বেপারী, নারিকেল বাড়িয়া ইউনিয়নের ইমরান বৈরাগী সহ কয়েক জন কৃষক জানান, বাদাম চাষ অত্যন্ত সহজ, খরচ কম এবং ঝামেলা নেই। বন্যায় পদ্মার চরগুলোতে পলিমাটি জমে থাকায় এগুলো বাদামসহ অন্যান্য রবিশস্যের জন্য বেশ উপযোগী হয়ে ওঠে। বীজ বপন থেকে ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত বিঘাপ্রতি খরচ হয় প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। রোপণের পর অন্য ফসলের ন্যায় পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। বীজ বপন ও বাদাম উঠানোর শ্রমিক খরচ ছাড়া আর কোনো খরচ নেই। ফলন ভালো হলে বিঘাপ্রতি ১০ থেকে ১২ মণ পর্যন্ত বাদাম হয়ে থাকে। বর্তমানে বাজারে প্রতি মণ বাদাম বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা দরে। সব খরচ বাদ দিয়ে বিঘাপ্রতি লাভ থাকে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার মতো।

সদরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিধান রায় জানান, এবার এই উপজেলার পদ্মার চরে বাদামের আবাদ এবং ফলন ভালো হয়েছে। এবিষয়ে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

বার্তাবাজার/এম আই