খালটির এক প্রান্তে কাছিয়াবুনিয়া অপর প্রান্তে হাপুয়াখালী গ্রাম। মাঝখানে বয়ে যাওয়া খালটির নাম আমলাভাঙা। দুই গ্রামের মানুষজনদের মেলবন্ধনে নির্মাণ করা হয়েছিল সেতুটি। তবে সুবিধার সেই সেতুটি নিয়ে এখন ভোগান্তিতে স্থানীয়রা।

গত দেড়বছর ধরে সেতুটি মাঝাংশে ভেঙে মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। ঘটতে পারে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তবুও ঝুকিপূর্ণ সেতু দিয়ে যাতায়াত করছে প্রায় চার শতাধিক কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা। এরপরেও সেতুটি ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যাক্তিরা।

মঙ্গলবার (১৬ মে) পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন সেতুটিতে গিয়ে দেখা গেছে এ চিত্র।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, ১৯৯৮ সালে আমলাভাঙ্গা খালের উপর আয়রণ ব্রিজ প্রকল্প থেকে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। তবে এ সেতুর কোন তথ্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে সংরক্ষিত নেই।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ভাঙা সেতুটি পার হয়ে কাছিয়াবুনিয়া গ্রামে অবস্থিত কাছিয়াবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭ নং কাছিয়াবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাছিয়াবুনিয়া আছমত আলী পন্ডিত দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থীরা আসা-যাওয়া করছেন। এ ছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ সেতু পার হয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে ছুঁটে যাচ্ছেন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রায় দীর্ঘদিন ধরে এই সেতুটি ভাঙা থাকার কারণে আমরা অনেকে ভয় পাই স্কুলে যেতে। এখান দিয়ে যাওয়ার সময় পরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেতুটি তাড়াতাড়ি ঠিক করে দিলে নির্ভয়ে স্কুলে যেতে পারবো।

স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবকরা বলেন, সেতুটি মাঝখানে ভাঙা। আমাদের ছেলে মেয়েরা স্কুল, মাদরাসায় যাইতে কষ্ট হয়। ওঁরা (শিক্ষার্থীরা) কোন সময় ভাঙা দিয়ে পরে যায় তা নিয়ে আমরা আতঙ্কের মধ্যে থাকি। ভাঙা সেতুটি নির্মান করে দেয়ার জন্য জোড় দাবী জানাচ্ছি।

ভাঙা সেতু লাগোয়া কাছিয়াবুনিয়া আছমত আলী পন্ডিত দাখিল মাদরাসা সুপার মাওলানা মো. হারুন আর রশিদ বলেন, মাদরাসার পূর্বপাশের সেতুটি অত্যান্ত নাজুক। যখন স্কুল এবং মাদরাসা ছুঁটি হয় তখন আমরা আতংকের মধ্যে থাকি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ থাকবে এই সেতুটি শীঘ্রই যেন করে দেয়া হয়। তাহলে আমাদের শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ চিন্তামুক্ত হবে।

রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান মামুন বলেন, ইতোমধ্যে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মিটিংয়ে সেতুটি সংস্কারের জন্য প্রস্তাব করেছি।

এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আমলাভাঙা খালের ওপর নির্মিত সেতুটি সরেজমিন ঘুরে প্রয়োজন অনুযায়ী প্রকল্পে প্রস্তাব পাঠানো হবে।

বার্তাবাজার/এম আই