ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালীচরণপুর ইউনিয়নের উত্তর কাষ্টসাগরা গ্রামে ছাগলে গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে সাজেদা খাতুন (৩৫) নামের এক গৃহবধুকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সে সময় তার পেট ও বুকের উপরে পাড়ানো হয়েছে।

তখন ঘটনাস্থলেই প্রসাব পায়খানা করে ফেলে ওই নারী। সাজেদা খাতুন উত্তর কাষ্টসাগরা গ্রামের আবুল জলিলের স্ত্রী ও একই ইউনিয়নের বড় কামারকুন্ডু গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক ও মনিরুল ইসলামের বোন। স্থানীয়রা আহত সাজেদা খাতুনকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আহত সাজেদা খাতুন জানান, ছাগলে গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমাদের বাড়িতে এসে অতর্কিত হামলা করে মতিয়ার ও তার সহযোগিরা। বিষয়টি জানতে চাইলে তার ছেলে তানজিল আমাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। আমি প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের সাথে থাকা মনজুরা, নারগিস, জিনিয়া, রিতা ও রজিনাসহ বেশ কয়েকজন মিলে আমাকে মাটিতে ফেলে দিয়ে পাড়াতে থাকে। ওই সময়ে আমার প্রসাব পায়খানা হয়ে যায়। তাও তাদের থেকে আমি রক্ষা পাইনি। মেরে ফেলার উদ্দ্যেশ্যে আমাকে মারা হয়েছে। আমার স্বামী ও ছেলে এবং মেয়েকে মারপিট করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। সাজেদা খাতুনের ভাই আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমার বোন দেখতে কালো হওয়ায় বিয়ের পর থেকে আমার ভগ্নিপতি আব্দুল জলিলের ভাই মতিয়ারসহ ওই বাড়ির বেশ কয়েকজন কোন কিছু ঘটার আগে আমার বোনকে নির্যাতন করে আসছিল।

এ দিয়ে তিন বার আমার বোনকে ওরা মেরেছে। আমি এবং আমার ভাই মনিরুল এ নির্যাতনের ঘটনায় বিচার চাই। অভিযুক্ত মতিয়ার রহমানের ফোনে কল করা হলে তিনি তার গ্রামের মাতব্বর শহিদুল নামের এক ব্যক্তিকে দিয়ে কথা বলান। মাতব্বর শহিদুল বলেন এ ঘটনা আমি কিছুই জানতাম না। বিষয়টি নিয়ে সামাজিকভাবে বিচার করতে চান তিনি।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, এ ঘটনায় এখনও কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বার্তাবাজার/রাহা