স্বাস্থ্য সেবায় ব্যবহৃত এ্যাম্বুলেন্স শুল্কায়ন, ১৭ গুণ জরিমানা বৃদ্ধি এবং কতিপয় প্রসঙ্গে মঙ্গলবার দুপুরে মোংলা কাস্টমস হাউসের মিলনায়তনে বারভিডা’র সভাপতি মো:হাবিব উল্লাহ ডনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কাস্টমস কমিশনার একেএম মাহাবুবুর রহমানের সাথে মতবিনিময় সভা করেন।

এসময় বারভিডার সভাপতি বলেন দীর্ঘদিন যাবত কাস্টম হাউজ চট্টগ্রাম হতে ২.১২.২০১৮ তারিখে জারি করা পাঁচটি শর্ত পূরণ করে আমাদের সদস্যগণ এ্যাম্বুলেন্স আমদানি করে আসছে এবং এর অপব্যবহার রোধকল্পে বিআরটিএ তে এ্যাম্বুলেন্স হিসেবে রেজিস্ট্রেশন এর পর সর্বোচ্চ ১২০ দিনের মধ্যে শর্ত অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত দলিলাদি সংশ্লিষ্ট কাস্টম হাউসে জমা দিয়ে আসছে।

কিন্তু বিদ্যমান বিধিমালার আলোকে শর্ত পূরণ করে এ্যাম্বুলেন্স আমদানি করা হলেও বর্তমানে মোংলা কাস্টম হাউসে এ্যাম্বুলেন্স শুল্কায়ন বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে কাস্টম হাউস থেকে বারভিডা এবং সংশ্লিষ্ট আমদানি কারককে কোন ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়নি,

তারা মনে করেন এ্যাম্বুলেন্স আমদানি, বিপণন ও রেজিস্ট্রেশন পর্যায়ে প্রদত্ত শর্ত সমূহের কারণে কোনরূপ অনিয়মের সুযোগ নেই। শুল্ক কর্তৃপক্ষের কোন অভিযোগ থাকলে সেটি আলোচনা সাপেক্ষে নিষ্পত্তি করা সম্ভব। কিন্তু স্বাস্থ্য খাতের জন্য বিপুল বিনিয়োগে আমদানিকৃত রিকন্ডিশন্ড এ্যাম্বুলেন্স শুল্কায়ন বন্ধ রাখা কোনভাবেই প্রত্যাশিত নয়।

এছাড়াও আলোচনার মধ্যে ছিল ৩০ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর গাড়ি খালাসকালে প্রতিটি গাড়িতে জরিমানার হার ১৭ গুণ বৃদ্ধি করায় হয়েছে,যা আগে ছিল ৩ হাজার টাকা বৃদ্ধি করে করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। নিলাম কার্যক্রম বন্ধ রাখা ও বীমা মূল্য নির্ধারণের অন্যায্যতা প্রসঙ্গেও কাস্টমস কমিশনার কে কথা অবহিত করেন তারা।

এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বারভিডা’র ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়াজ হোসেন ও কেন্দ্রীয় নেতা আহসানুর রহমান আরজু। এর আগে দুপুরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমানের সাথে সৌজন্য সাক্সাক্ষাৎ করেন বারভিডা নেতৃবৃন্দরা।