ঘরে বসে অনলাইনে খণ্ডকালীন চাকরির দেওয়ার কথা বলে লাখ–লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।মঙ্গলবার এটিইউ’র একটি দল রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাইদুর রহমান নামের এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করে।

এটিইউ’র মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস শাখার পুলিশ সুপার ব্যারিস্টার মাহফুজুল আলম রাসেল জানান, নুসরাত কামাল নামে এক ভুক্তভোগীর অভিযোগ অনুযায়ী, গত ১০ ফেব্রুয়ারি সাবিনা আক্তার নামধারী এক প্রতারক ভাইবার অ্যাপে তাকে কল করেন। এ সময় তাকে ঘরে বসে খণ্ডকালীন কাজের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এরপর তার মোবাইল ফোনে একটি মেসেজ আসে। তাতে বলা হয়– প্রতিদিন দুই হাজার টাকা বেতনের চাকরির পরীক্ষায় আপনি উত্তীর্ণ হয়েছেন। এজন্য প্রথমে নিরাপত্তা জামানত ও সার্ভিস চার্জ বাবদ কিছু টাকা দিতে হবে। ভুক্তভোগী চাকরির প্রস্তাবে রাজি হলে আস্থা অর্জনের জন্য তাকে অনলাইনে কিছু কাজ করতে দেওয়া হয়। পরে তিনি জামানত ও সার্ভিস চার্জ বাবদ মোট চার হাজার টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেন। পরদিন প্রতারক চক্র তাকে একটি টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত করে নেয়।

এ সময় তারা জানায়, আরও বেশি টাকার কাজের জন্য আবারও নিরাপত্তা জামানত বাবদ টাকা দিতে হবে। ‘যত বেশি বিনিয়োগ-তত বেশি লাভ’– এমন প্রস্তাবে অভিযোগকারী সরল বিশ্বাসে সেদিন বিভিন্ন সময়ে মোট ৬২ হাজার ৮৩৯ টাকা পাঠান। পরে সাউথইস্ট ব্যাংক ফেনী জেলা শাখার হিসাব নম্বরে ২ লাখ ৯৮ হাজার ২৩৭ টাকা পাঠিয়ে দেন। এভাবে বারবার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারকরা তার কাছ থেকে কয়েক ধাপে মোট ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৬ টাকা হাতিয়ে নেয়।

এটিইউ জানায়, প্রতারকরা পরে আরও টাকা চাইলে ভুক্তভোগীর সন্দেহ হয়। তিনি টাকা দিতে আপত্তি জানালে তাকে টেলিগ্রাম গ্রুপে ব্লক করে দেওয়া হয়। পরে তিনি এ ঘটনায় রাজধানীর গেণ্ডারিয়া থানায় মামলা করেন। গেণ্ডারিয়া থানার অনুরোধে প্রতারণার অর্থ গ্রহণকারী সাইদুর রহমানকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে এটিইউ।