বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯২৫ সালের ২৩ জুলাই আজকের এই দিনে তিনি গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার দরদরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর থেকে ভাষার অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্ত ফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে তরুণ তাজউদ্দীন সেই সময়ের পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক ফকির আবদুল মান্নানকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে এমএলএ নির্বাচিত হন। ১৯৫৫ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক ও সমাজ সেবা সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬২ সালে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে তিনি সক্রিয় অংশ নেন এবং কারাবরণ করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৬৬ সালে তিনি লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলীয় সম্মেলনে যোগদান করেন। এ বছরই তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পর ১০ এপ্রিল গঠিত মুজিব নগর (অস্থায়ী বাংলাদেশ) সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদ শক্ত হাতে বাঙালির স্বাধীনতার আন্দোলন পরিচালনা করেন। স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে হত্যা হওয়ার পর তাজউদ্দীন আহমদকে গৃহবন্দি করা হয় এবং পরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বন্দি অবস্থায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাভ্যন্তরে অপর তিন জাতীয় নেতা-সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানের সঙ্গে তাজউদ্দীন আহমদকেও হত্যা করা হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাজহারুল ইসলাম সেলিম জানান, মহান এই নেতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠন ও উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনাসভা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, দোয়া ও কোরআন খানি। এসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য বঙ্গতাজকন্যা সিমিন হোসেন রিমি।

বার্তাবাজার/এম আই