MR GOOO! সদ্য ২৫ পেরোনো একজন প্রবাসী বাংলাদেশী পরিব্রাজক। পেশায় একটি বহুজতিক কোম্পানীর প্রজেক্ট ম্যানেজর হলেও ভ্রমণটাই যেন তার নেশা। তাই নিজের অভিজ্ঞতা লব্ধ ভ্রমনের মুহুর্তগুলো স্বরণীয় করে রাখার পাশাপাশি অন্তর্জালের সুতোয় বেঁধে ছড়িয়ে দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এশিয়া ইউরোপ সহ আমেরিকা মহাদেশের প্রায় ২৯টি দেশ ভ্রমনের নিদারুন নির্যাস আর সতর্কতাগুলো প্রতিনিয়িত দর্শক এবং শ্রোতাবৃন্দের কাছে পাচ্ছে নির্ভরযোগ্য গ্রহণযোগ্যতা।

MR GOOO! পরিচয়ের আড়ালে যিনি আছেন, তিনি পুরনো ঢাকার ফাইসাল আহমেদ হৃদয় । সান শাইন নার্সারী থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শেষ করে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেছেন নারায়নগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী তোলারাম কলেজ থেকে। উচ্চ শিক্ষার জন্য পূর্ন বৃত্তিতে পড়াশোনার সুযোগ পেয়ে পাড়ি জমান শিল্পের রাজধানী প্যারিসে। স্নাতক অধ্যায়নের জন্য University of Sorbonne থেকে সম্মাননা গ্রহন করে স্নাতকোত্তর সম্মাননা অর্জন করেন University of Bordeaux থেকে। বর্তমানে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনায় উচ্চতর শিক্ষা অর্জনের জন্য পিএইচডি সম্পন্ন করার প্রক্রিয়ায় রয়েছেন তিনি।

ভ্রমণ প্রিয় ব্যক্তি জীবনে উচ্চশিক্ষা এবং ব্যস্ততম কর্মজীবন অতিবাহিত করার পাশাপাশি নিজের বাকিটুকু সময় তিনি ব্যায় করেন মানবিক বিকাশ অধিকার এবং অগ্রযাত্রার একজন অগ্রাণী সমর্থক হিসেব। প্যারিসের BAAM এবং LA MIF নামের দুইটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার সাথে অভিবাসীদের সহায়তার জন্য একজন সেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেন তিনি। ফ্রান্সে আগত বিভিন্ন দেশের নাগরীক বৈধ কিংবা অবৈধ সবার নূন্যতম নাগরীক অধিকার এবং সামাজিক জীবন যাপনের নিরাপত্তার জন্য নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করছেন সশরীরে এমনকি যোগাযোগ মাধ্যমে। এছাড়াও বাংলাদেশে MR GOOO’S FOUNDATION নামে তার একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন রয়েছে। যার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন ক্রান্তিকালীন সময়ে তিনি এগিয়ে আসেন একজন আদর্শ সেচ্ছাসেবীর বেশে।

ব্যক্তি জীবনের ইচ্ছে এবং স্বপ্নের কথা প্রসঙ্গে তার বিস্তর বৈভবিক অভিপ্রায়ের কোন বিষয় জানা যায় নি। ঘুরে দেখতে চার পুরো পৃথিবী। লাল সবুজের পতাকা সমুন্নত থাকুক, শ্রদ্ধার সঙ্গে বাঙ্গালী পরিচয় ধারন করে, প্রবাসে থাকা বিভিন্ন দেশের মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে চান তিনি। অনুভব করতে চান পৃথিবীর বৈচিত্র। ধর্ম বর্ণ রং ভাষা আর অবয়বের যে নিদারুন নির্মল পার্থক্য, সেখান থেকে খুজে ফিরতে চান পৃথিবী মানুষ হয়ে বসবাস করার চুড়ান্ত সৌভাগ্য। পাশাপাশি একজন অভিবাসন পরামর্শক হিসেবেও হতে চান দক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য মুখ।