সাতক্ষীরা সদরের ফিংড়ীতে ৯৯৯ কল পেয়ে অপহৃত রুমি খাতুন নামে ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে সদরের উত্তর ফিংড়ী গ্রামের শাহরিয়ার হোসেনের বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।

অভিযুক্ত শাহরিয়ার হোসেন সাতক্ষীরা সদরের উত্তর ফিংড়ী গ্রামের রশিদ ঢালীর ছেলে। শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও মাদক বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।

জানা যায়, উত্তর ফিংড়ী গ্রামের রশিদ ঢালীর ছেলে শাহরিয়ার হোসেন একই এলাকার ফজর আলী মালির মেয়ে রুমি খাতুনকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে আসেন। পারিবারিক ভাবে মিমাংসায় ব্যর্থ হলে বাধ্য হয়ে মেয়ের ভাই আলামিন হোসেন জরুরী সেবা ৯৯৯ কল করে পুলিশের সহযোগীতা চাই। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ভাবে ব্রক্ষমরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত সাব-ইন্সেসপেক্টর ইসমাঈল হোসেন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর থানাতে নিয়ে আসেন। বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত বিষয়ে কোন মামলা হয়নি বলে জানা গেছে।

এদিকে, ঘটনাটি আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে মিমাংসা করার চেষ্টা করছে অপরহরণকারী শাহরিয়ার হোসেনসহ তার পক্ষ্যের লোকজন। নারী ও শিশু সংশ্লিষ্ট বিষয়টি থানাতে এভাবে মিমাংসা করার আইন না থাকলেও সুবিধা নিয়ে মামলা এড়াতে মিমাংসা করতে পায়তাড়া করছে মহলটি।

তবে ব্রক্ষমরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির সাব-ইন্সপেক্টর ঈসমাইল হোসেন জানান, ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে এজাহার জমা দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মহিদুল ইসলাম কে কয়েকবার ফোন করলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।