কিশোরগঞ্জের ভৈরবের রসুলপুর জলমহালের ইজারা বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন করেছে মৎসজীবি ও স্থানিয় বাসিন্ধারা। আজ সকাল ১১ টার সময় ভৈরব উপজেলা পরিষদের সামনে রসুলপুর গ্রামের মৎসজীবি ও গ্রামবাসির উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়। এ সময় নিবন্ধিত জেলে সহ প্রায় শতাধিক স্থানিয় মৎসজীবিরা উক্ত মানববন্ধনে অংশ নেন।মানববন্ধন শেষে প্রতিকার চেয়ে ৮১ জন জেলের স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি পত্র উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দেন মৎসজীবিরা।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, রসুলপুর গ্রামের একটি স্বার্থান্বেষী মহল যুগান্তর মৎসজীবি সমবায় সমিতি নাম দিয়ে নতুন সংগঠন সৃষ্টি করে এবং রসুলপুর জলমহালটি উন্নয়ন প্রকল্পের নাম দিয়ে ৬বছরের জন্য ইজারা নেয়। উক্ত সংগঠনের সভাপতি আব্দুল আজিজ খানসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা ইজারা নেয়ার পর থেকে স্থানীয় শতাধিক গরীব জেলেদেরকে জলমহালে মাছ ধরতে বাধা সহ নানান জুলুম অত্যাচার ও মারধরের অভিযোগ করা হয়।

ইজারা গ্রহণকারী আব্দুল আজিজ খান রসুলপুর মৎসজীবি সমবায় সমিতির সদস্য বহাল থাকার পরও বেআইনি ভাবে যুগান্তর মৎসজীবি সমবায় সমিতি সৃষ্টি করে এ নতুন সংগঠনের নামে ইজারা নেয়। একই ব্যক্তি দ্বৈত সদস্য হওয়া সম্পূর্ণ বৈআইনি ও মৎস আইন পরিপন্থী। তাই এই ইজারা বাতিল করে জেলেদের জন্য জলমহালটি উন্মুক্ত করে জেলের মাছ ধরার দাবি জানান অসহায় ও দরিদ্র জেলেরা। উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাদেকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো: ফজলুল হক, মৎসজীবি মো: শফিকুল ইসলাম, মৎসজীবি মো: রাসেল মিয়া প্রমুখ।

মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, যুগান্তর মৎসজীবি সমবায় সমিতি জলমহালটি উন্নয়ন প্রকল্পের নাম দিয়ে ৬বছরের জন্য ইজারা নেয়। উক্ত সংগঠনের সভাপতি আব্দুল আজিজ খানসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা ইজারা নেয়ার পর থেকে স্থানীয় শতাধিক গরীব জেলেদেরকে জলমহালে মাছ ধরতে বাধা সহ নানান ভাবে জুলুম অত্যাচার ও মারধর করে আসছে বলে অভিযোগ করেন ।

ই.এক্স/ও.আর/বার্তা বাজার