নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক মাস ধরে নেই ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট। যার কারণে পরীক্ষা করার জন্য বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে এই পরীক্ষা করাতে বাধ্য হচ্ছে রোগী ও স্বজনরা। তবে কবে নাগাদ সরকারি এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট আসবে তাও নিশ্চিত করে বলতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ,সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা না হওয়ায় তাদের বাড়তি খরচের বোঝা বইতে হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়,গেল সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতেই ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট শেষ হয়ে যায়। প্রতিদিন এই হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য রোগী আসলেও করা যাচ্ছে না।

সূত্র আরো জানায়, চলতি মাসে এখন পর্যন্ত ১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন কোনো ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়নি। এ পর্যন্ত হাসপাতালে ৮০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক দেখাতে অনেকে আসছেন। তাঁদের অনেককেই ডেঙ্গু টেস্ট দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু হাসপাতালে কিট না থাকায় হাসপাতাল সংলগ্ন বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডেঙ্গু টেস্ট করাতে হচ্ছে তাঁদের। এতে অতিরিক্ত টাকাও গুনতে হচ্ছে।

সদর ইউনিয়নের সৈয়দ মোড় নামক গ্রামের শিক্ষার্থী কামরুজ্জামান মিয়া জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গতকাল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তিনি বলেন,ডাক্তার ডেঙ্গু টেস্ট করাতে বললে হাসপাতাল সরকারিভাবে করাতে গেলে তারা জানায় এখানে হবে না। বাইরে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে করাতে হবে। পরে বাহিরেই করাতে হয়েছে।

সরকারি প্যাথলজি ইনচার্জ আব্দুল মতিন বলেন, গত মাসের প্রথম দিকে কিট শেষ হয়ে গেছে। বর্তমানে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট নেই।

এ নিয়ে জানতে চাইলে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জেবুন্নেসা বলেন,আপাতত কিট নেই। বিষয়টি নিয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমাদের জানিয়েছে কীট সরবরাহ পাওয়া মাত্রই আমাদের সরবরাহ দেওয়া হবে। পরেই যথানিয়মে পূর্বের ন্যায় ডেঙ্গু পরীক্ষা করা সম্ভব হবে।

বার্তাবাজার/এম আই