সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসের সেইফহোমে আশ্রিত গৃহকর্মীদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় উপসচিব মো. মেহেদী হাসানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে, তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) তাকে বরখাস্ত করার প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের সাবেক কাউন্সিলর এবং বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (উপসচিব, সাময়িক বরখাস্তকৃত) মো. মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে দূতাবাসের সেইফহোমে আশ্রিত কতিপয় ‘গৃহকর্মীকে’ যৌন নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া যায়। পরে সংশ্লিষ্ট দূতাবাস থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রাথমিক তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় তাকে রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কল্যাণ উইং থেকে প্রত্যাহারের আদেশ জারি করে। এরপর তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে।

পরবর্তী সময়ে মেহেদী হাসানকে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর অভিযুক্ত কর্মকর্তা লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর জবাব দাখিল করে ব্যক্তিগত শুনানির প্রার্থনা করেন। কিন্তু ব্যক্তিগত শুনানিতে তার বক্তব্য সন্তোষজনক বিবেচিত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করার জন্য কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্তে মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে দূতাবাসের সেইফহোমে আশ্রিত কতিপয় ‘গৃহকর্মীকে’ বিভিন্নভাবে হেনস্তা এবং যৌন নির্যাতন (ধর্ষণ) করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়।

এরপর অভিযুক্ত কর্মকর্তা চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি লিখিতভাবে দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর জবাব দাখিল করেন। কিন্তু সেটিও সন্তোষজনক হয়নি। তাই তাকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ৪(৩) (ঘ) বিধি অনুযায়ী ‘চাকরি থেকে বরখাস্ত’ করা হয়।

জনস্বার্থে জারি করা এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বার্তা বাজার/জে আই