ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলাবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দেবহাটা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাতুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবর রহমান। কি নোট স্পিকার ছিলেন খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলাবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শেখ ফজলুল হক মনি।

স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি অফিসার শরীফ মোহাম্মাদ তিতুমীর। উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার সীমান্ত কুমারের পরিচালনায় বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সবুজ, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বাবু, সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বকুল।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শওকত ওসমান, সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুত সমিতির দেবহাটা সাব-জোনালের এজিএম জহুরুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শফিউল বশার, সমাজসেবা অফিসার অধির কুমার গাইন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সোলাইমান হোসেন, বিআরডিবি কর্মকর্তা তানজিয়ারা খাতুন, সহকারী প্রোগ্রামার ইমরান হোসেন, তথ্যসেবা কর্মকর্তা মৌসুমি খাতুন সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, উপ-সহকারী কৃষি অফিসারবৃন্দ, প্রান্তিককৃষকগন উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য যে, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও নড়াইল জেলার ২৮টি উপজেলায় জলাবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের কাজ চলছে। কৃষি উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা টেকসই রাখতে জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল ফসলের জাত ও প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং সম্প্রসারণ করার লক্ষে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়। তাছাড়া ক্লাইমেট-স্মার্ট প্রযুক্তি বৈশিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্যে এটি খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে প্রকল্পটি। যার মাধ্যমে উপজেলার নোড়া-চারকুনি এলাকায় নতুন করে ধান চাষ শুরু হয়েছে। একই সাথে চারকুনি এলাকায় নালা খননেন মাধ্যমে ধান ও মাছ চাষে ব্যাপক সম্ভবনা বিরাজ করছে। আগামী মৌসুমে দেবহাটায় জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল ফসলের জাত ও প্রযুক্তির ব্যবহারে কৃষিতে পরিবর্তন আসবে বলেও জানানো হয়। কর্মশালায় কৃষি ও কৃষকের উপযোগী বিভিন্ন প্রস্তবনা গ্রহন করেন প্রকল্প পরিচালক। বিভিন্ন এলাকায় অকৃষি ও পতিত জমি চাষের আওতায় আনতে চলমান খাল খনন, উন্নত কৃষি প্রযুক্তি সহায়তা, কৃষি পণ্য সংরক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন সহ বিভিন্ন দাবি জানানো হয়।

বার্তা বাজার/জে আই