কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৭ নাম্বার ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচন ১২ জুন। এই উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী তিন মেম্বার প্রার্থী বিপুল, সিদ্দিকুর ও নিজাম উদ্দিনের কাছে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা কাফনের কাপড়সহ লাশ দাফনের সামগ্রী পাঠিয়েছে। এ নিয়ে তিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পরিবার সহ এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

বুধবার (৭ জুন) গভীর রাতে কাফনের কাপড়সহ লাশ দাফনের সামগ্রী প্রার্থীরা দেখতে পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশকে খবর দেয়।

গত ১৫ মার্চ এই ওয়ার্ডের মেম্বার কাজল হোসেনকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা। আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৫ জন প্রার্থী।

এ বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিপুল বলেন, আমি নির্বাচনের প্রচার প্রচারণার প্রথম দিন থেকেই বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্থ হচ্ছি। বুধবার মধ্যরাতের যে কোন সময় আমার বাড়ির ভিতরে কাফনের কাপড়, গোলাপজল , সাবান ও আগরবাতি রেখে গেছে। আমি নির্বাচনের প্রচারণা শেষে বাড়ি ফিরে এগুলো দেখতে পাই। আমি প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের কাছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা চাচ্ছি।

অপর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সিদ্দিকুর ও নিজাম উদ্দিন বলেন, নির্বাচনী প্রচার শেষে আমরা বাসায় ফিরে দেখি বাড়ির ভিতরে কারা যেন একটি পলিথিন ব্যাগে কি রেখে গেছে। সাথে সাথে থানার ওসি সাহেবকে জানালে পুলিশ আসে এবং সেই পলিথিনের ভিতরে কাফন, গোলাপজল, সাবান, আগরবাতি পাই। আমরা নিরাপত্তার হীনতায় ভুগছি। আর মাত্র তিন দিন পরে ভোট এখন যদি মৃত্যু আগে কাফনের কাপড় রেখে যায় তাহলে সাধারন মানুষ তো আর ভোট সেন্টারে যাবে না। তাই সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য ও আমাদের জীবনের নিরাপত্তা জন্য প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এ ব্যাপারে উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ফাতেমা খাতুন বলেন, এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য যা যা করা দরকার সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে দৌলতপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন , মেম্বার প্রার্থীরা মুঠো ফোনে আমাকে জানান তাদের বাড়ির ভিতরে কারা পলিথিন ব্যাগে কি ফেলে রেখে গিয়েছে। আমি দ্রুত পুলিশ পাঠিয়ে পলিথিন ব্যাগে থাকা কাফনের কাপড় সহ বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।

বার্তাবাজার/রাআ