সারাদেশের ন্যায় ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলাতেও তীব্র তাপদাহ চলছে। তীব্র তাপদাহ ও ক্রমাগত লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে ঠান্ডা পানীয়ের চাহিদা বেড়েছে বহুগুণ। পথচারীরা বিভিন্ন রকমের পানীয় পান করে স্বস্তি লাভের চেষ্টা করছে। শুধু পানীয় নয় রয়েছে হরেক রকমের আইসক্রিমও। তার মধ্যে অন্যতম কুষ্টিয়ার কুলফি মালাইয়ের স্বাদ এবং সাধ্যের মধ্যে হওয়ায় জনপ্রিয়তার তুঙ্গে।

গ্রীষ্মের এই তীব্র তাপদাহে আলফাডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে কান পাতলে প্রায়ই ভেসে আসছে কুষ্টিয়ার কুলফি মালাইয়ের বিজ্ঞাপন। এই কুলফি লাগবে কুলফি, হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে এমন হাঁকডাকে কেমন যেন স্বস্তির পরশ ছুঁয়ে যায়। গরমের কারণে কুলফি মালাই শব্দ দুটো কানে আসতেই অন্যরকম এক প্রশান্তি অনুভব করে ছোট-বড় সব শ্রেণির মানুষ। লালসালু কাপড়ে মোড়ানো সিলভারের পাতিলে দুধ, চিনি, এলাচ, বাদাম, কিশমিশ আর গরম মসলার মিশ্রণ করে টিনের কৌটায় ভরে বরফ ভর্তি করে দুই এক ঘন্টা রেখে দিলেই জমে হয় অমৃত স্বাদের কুলফি মালাই।

সরেজমিনে উপজেলার গোপালপুর বাজারে মোঃ মুছা নামে এক ব্যক্তিকে কুলফি আইসক্রিম বিক্রি করতে দেখা যায়।

এ সময় কথা হয় তার সঙ্গে মুছা বার্তা বাজার’কে জানান, ‘তার বাড়ি কুষ্টিয়ায়। তারা চারজন গ্রীষ্মের এই মৌসুমে পাশ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলার সহস্রাইল বাজারে ভাড়া থাকেন। তিন মাসের জন্য এখানে থেকে এই ব্যবসা পরিচালনা করছেন তারা। এরপর সিজন শেষে কু্ষ্টিয়ায় গিয়ে অন্য পেশায় যুক্ত হবেন। যুগ পাল্টাইছে তাই এখন আর মাথায় বহন করে ফেরি করতে হয়না। অটোভ্যানে করে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন হাটে-বাজারে কুলফি মালাই বিক্রি করেন। এতে কষ্ট আর সময় উভয়ই বাঁচে।’

আলফাডাঙ্গা সদর বাজারে সিরাজুল ইসলাম নামে অপর এক কুলফি বিক্রেতা বলেন, ‘কুলফি ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা দামের পাওয়া যায়। আমি তিন যুগ ধরে কুলফি মালাই বিক্রি করি। আগে তো মাথায় নিয়ে বিক্রি করা লাগতো এখন রাস্তা ঘাট উন্নত হওয়ার কারণে ভ্যানে করে বেচা বিক্রি করছি। প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার টাকা আয় করি।’

মনিরুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘গরমের আরাম কুলফি মালাই। দামেও সস্তা, খেতেও মজা।’

উপজেলার গোপালপুর গ্রামের নাজমুল ইসলাম রানা নামে এক ব্যক্তি বার্তা বাজার’কে জানান, ‘কুষ্টিয়ার কুলফির সুনাম সেই ছোট কাল থেকে শুনে এবং খেয়ে আসছি। স্বাদের সঙ্গে সুঘ্রাণেরও যে নিবিড় সম্পর্ক আছে সেটা তুলোর মতো নরম কুলফিতে কামড় দিলে বোঝা যায়।

বার্তাবাজার/রাআ