মাদারীপুরের রাজৈরে পৈতৃক সম্পত্তি না ছাড়ায় মিথ্যা ধর্ষণ চেষ্টা ও চাঁদাবাজি মামলা করার অভিযোগ উঠেছে কালাম শেখ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ধর্ষণ চেষ্টা মামলার একমাত্র আসামি জায়গার ওয়ারিশ ফারুক খান(৪৮) বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। সোমবার (৫ জুন) বিকেলে রাজৈর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড হৃদয়নন্দী গ্রামে এ মামলা দুটির প্রতিবাদে ও সুষ্ঠু বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী পরিবার। ফারুক রাজৈর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড পূর্ব স্বরমঙ্গল গ্রামের মৃত আজিজ খানের ছেলে ও কাঠেরপোল এলাকার চায়ের দোকানদার। এছাড়া ফারুক সহ ৫ জনকে আসামি করে আরো একটি চাঁদাবাজি মামলা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা জানায়, ১৯৭৫ সালে পিতা আজিজ খানের ক্রয়কৃত জায়গায় তারা চার ভাই দলিল মুলে বসবাস করে আসছে। কিন্তু পিতা মারা যাওয়ার সময় তারা ছোট থাকায় জায়গাগুলো রেকর্ড করতে পারেনি। এই সুযোগে ৪৯ নং হৃদয়নন্দী মৌজার বিআরএস ৮১ নং খতিয়ানে বিআরএস ১৪৬, ১৪৭ ও ১৯৩ নং দাগে ৬.৪০ শতাংশ জমি বিআরএস রেকর্ডীয় মালিক নিজারুল ইসলাম গংদের কাছ থেকে গত ১৫/০৫/২০১৩ ইং তারিখে কিনেছে বলে দাবি করে জায়গা দখল করতে আসে কালাম ও তার লোকজন। এসময় বাধা দেওয়ায় তিনি ক্ষমতাসীনদের আত্মীয় ও গোপালগঞ্জের বাসিন্দা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয়। পরে পৈতৃক জমি বাচাতে মাদারীপুর আদালতে রেকর্ড সংশোধনের মামলা করায় কালাম আরো ক্ষিপ্ত হয়।

এরপর গোপালগঞ্জের দক্ষিণ মিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নাসিমা বেগম(৪০) নামে এক নারীকে রাজৈরের ঘোষালকান্দি গ্রামের অস্থায়ী বাসিন্দা দেখিয়ে ১৬/০৫/২০২৩ ইং তারিখে তাকে দিয়ে মাদারীপুর আদালতে একটি মিথ্যা ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করে। পরবর্তীতে রাজৈর থানায় তদন্ত শেষে মামলাটি দায়ের করা হয়। এ মামলায় ফারুককে একমাত্র আসামি করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়। একই সঙ্গে কালামের ছেলে শেখ সাইফুলকে(২৬) দিয়ে মাদারীপুর আদালতে ফারুক সহ তার আরো তিন ভাই সেলিম খান, মকবুল খান, উজ্জ্বল খান ও তার চাচাতো ভাই সাহাদাত খানকে আসামি করে একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে।
এ নিয়ে চরম আতংকে বসবাস করছে ভুক্তভোগী পরিবার। ফারুকের দ্রুত কারামুক্তিসহ এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও সমাধান দাবি করেছেন তারা।

এ বিষয় রাজৈর থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, মামলা দুটি আদালতে করা হয়েছে। আমরা আদালতের অনুমতিতে ধর্ষণ চেষ্টার মামলাটি দায়ের করেছি। এছাড়া চাঁদাবাজি মামলাটির রিপোর্ট তদন্ত শেষে দেবো।

বার্তা বাজার/জে আই