লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গোবদা মাস্টার পাড়া এলাকায় মুরগির খামারের দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ বেশ কয়েকটি পরিবার। মৃত তাহের আলীর পুত্র মহব্বত আলী প্রায় ছয় বছর পূর্বে নিজ বাড়ীর থাকার ঘরের পাশে খামারটি গড়ে তুলেন। বর্তমানে ওই খামারে লেয়ার মুরগীর সংখ্যা ১ হাজারের মত।

এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মুরগী খামারের দূর্গন্ধে বায়ু দুষিত হয়ে এলাকার পরিবেশ নস্ট করছে।এতে ওই খামার সংলগ্ন কয়েকটি বাড়ীর লোকজন দূর্বিষহ জীবন যাপন করছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী ফাঁকা এলাকায় মুরগীর খামার স্থাপন করার নিয়ম থাকলে তিনি সেটা মানেন নি বলে জানান স্থানীয়রা।খামারটির উভয় পাশে দুজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ী আরেক পাশে একটি মসজিদ ও রয়েছে। সেই সাথে খামারটির পাশ দিয়ে একটু সরু রাস্তা রয়েছে, যেটি দিয়ে জনসাধারণ ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা চলফেরা করে।চলাচলের সময় তারা মুখে ও নাকে কাপর দিয়ে বা ঢেকে ওই জায়গাটুকু পার হয়।

এদিকে খামারের মালিক মহব্বত আলী জানান তিনি একজন উদ্যোক্তা হিসাবে সৎ ভাবে আয় করার উদ্দেশ্যে এই খামারটি গড়ে তুলেছেন। ৫০০ এর কিছু মুরগী রয়েছে যেগুলো এখন নিয়মিত ডিম দেয়।এটি দিয়ে তার সংসার চলে, আয় করার আর কোন পথ নেই এটিই তার একমাত্র ভরসা। আর বসত ভিটা ছাড়া আর কোন জায়গা না থাকায় বিষ্ঠা গুলো দুরে ফেলতে পারছেন না।

ঘটনার বিষয়ে আদিতমারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জানান এমন কোন অভিযোগ হাতে পায়নি তবে যারা খামার করছেন তাদেরকে নিয়ম মেনে করতে হবে।পারবারিক খামার হলে সর্বোচ্চ ১০০ মুরগী তুলে খামার করতে পারবেন।তবে কেউ নীতিমালা অনুসারে খামার না করলে সেটি তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নেয়া হবে।ঘটনাটির বিষয়ে জানান সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি অভিযোগ দিলে উভয় পক্ষকে ডেকে সুরহা করাও যেতে পারে।