ডিবির সন্ধানে পাওয়া গেছে মিল্টন সমাদ্দারের তিন চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ,শনিবার (৪ মে) দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ সব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ । তিনি বলেন এসব অ্যাকাউন্টে কারা টাকা পাঠাতেন সে বিষয়ে চলছে তদন্ত।

এ ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে মিল্টন কীভাবে অর্থ উপার্জন করতেন এবং কারা তাকে সহায়তা করতেন তাদেরকেও শনাক্তে কাজ করছে ডিবি।জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকে ডাকা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার আশ্রমের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে মিল্টনের স্ত্রীকে রবিবার দুপুরে ডিবিতে ডাকা হয়েছে। তার স্ত্রীকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করবো। নিজের বাবাকে পিটিয়ে গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় এসে মিল্টন সমাদ্দার সাইকোতে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে ডিবি প্রধান বলেন, আমরা জানান চেষ্টা করছি তার উত্থান কীভাবে হলো।

কিভাবে তিনি তথাকথিত মানবতার ফেরওয়ালা হয়ে উঠলেন। তার অর্থের উৎস কীভাবে আসে। কেনই বা সেবার নামে দরিদ্র মানুষ সংগ্রহ করে তাদের টর্চার সেলে পেটানো হতো। সবকিছু নিয়েই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

সম্প্রতি কিছুদিন ধরে মিল্টনের বিরুদ্ধে নানা প্রতারণার অভিযোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। গত বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে গোয়েন্দা-মিরপুর বিভাগ। পরে রাতে তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় বিভিন্ন অভিযোগে তিনটি মামলা হয়। সেসব মামলায় আদালতে সোপর্দ করলে মিল্টনকে তিন দিনের রিমান্ড দেন আদালত।