নোয়াখালী হাতিয়ায় চুরির মামলা তদন্তকালে শামীম, বাবর, শাহাব উদ্দিন ও প্রনব বণিক নামের ৪ আসামী গ্রেপ্তার করে হাতিয়া থানা পুলিশ। এসময় চুরিকৃত স্বর্ণালঙ্কার ও চুরির কাজে ব্যবহৃত সিএনজি সহ উদ্ধার করা মালামাল থানায় নিয়ে আসা হয়।

গ্রেফতারকৃত মো: শামীম (২৮) উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড গুল্যাখালী গ্রামের শফি আলমের ছেলে, মো: বাবর (৫৫) একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বড়দেইল গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে, শাহাব উদ্দিন (৩৫) সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড পূর্ব চরচেংঙ্গা গ্রামের মৃত আলী আহম্মদের ছেলে ও প্রনব বণিক (৩৬) তমরদ্দি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আঠারোবেকী গ্রামের মৃত পবিত্র বণীকের ছেলে। শামীমের বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় ৬টি ও বাবরের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা রয়েছে। এসকল মামলায় তাদেরকে বিভিন্ন সময়ে অভিযান দিয়ে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছিলো। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় হাতিয়া থানার ওসি জিসান আহমেদ তার কক্ষে লিখিত এক প্রেস নোট ও সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ঘটনার বিবরণ দেন।

বিবরণে জানানো হয় ২৫ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা থেকে ভোররাত পর্যন্ত হাতিয়া থানা পুলিশ চুরির মামলায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে চোর চক্রের প্রধান সহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার সহ চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার করেন।
অফিসার ইনচার্জ জিসান আহমেদ এর নেতৃতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ ইং ২৫/০২/২০২৪ তারিখ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বুড়িরচর ইউপিস্থ গুল্যাখালী এলাকা হতে হাতিয়া থানার মামলা নং-০৩ তাং-০৯/০২/২০২৪ ইং ধারা- ৪৫৭/৩৮০ পেনাল কোড ১৮৬০ সংক্রান্তে মামলার ঘটনার সহিত জড়িত আসামী শামীমকে গ্রেফতার করা হয়।

পরবর্তীতে উক্ত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ পূর্বক তাহার স্বীকারোক্তী মোতাবেক একই মামলার অপর আসামী মোঃ বাবর ও মোঃ শাহাব উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। আসামীর দেখানো মতে তাহার বসতবাড়ি হতে চোরাই মোবাইল ০৫ টি উদ্ধার করা হয়।

অপর একটি মামলায় শামীমের স্বীকারোক্তি ও সনাক্তকরণ মোতাবেক স্বর্ণকার প্রনব বণিককে গ্রেফতার করিয়া তাহার দোকান হতে নিজ হাতে বাহির করিয়া দেওয়া মতে ০২ ভরি ০২ আনা ০২ রতি ৩ পয়েন্ট ওজনের স্বর্ণ জব্দ করা হয়। যাহার বর্তমান বাজার মূল্য ২লাখা ১১হাজার ৪১৭ টাকা।

ওসি জিসান আহমদ জানান, আমরা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চোর চক্রের প্রধান শামীম সহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। সেই সাথে চুরি যাওয়া স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল সমূহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, এই চোর চক্র হাতিয়ার বিভিন্ন জায়গায় চুরি করা মালামালগুলো মনপুরা এবং ভোলাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করে আদালতে সোপর্দ করা হবে।