ঝিনাইদহের বিষয়খালীতে রান সঞ্চয় ও ঋণ দান সমিতির মালিক রফিকুল ইসলাম ওরফে সুদখোর রফির নির্যাতন বন্ধ, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারের দাবীতে ঝিনাইদহ- যশোর মহাসড়ক অবোরোধ করেন নির্যাতিত এলাকাবাসী।

এ সময় ঝিনাইদহ- যশোর মহাসড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তায় জানজটের সৃষ্টি হয়। অবোরোধকারীরা জানান, সুদখোর রফি আমাদেরকে অল্প সুদে ঋণ দেওয়ার নাম করে চড়া সুদে টাকা আদায়ের নামে গুন্ডাবাহিনী দিয়ে বাড়ি ঘরে হামলা করছে। আমাদের কাছ থেকে জামানতের ব্যাংক চেক ও ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প নিয়ে ঋণ শোধের মেয়াদ শেষ হবার আগেই ঋনের ৬গুন টাকা দাবি করে মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। সুদের টাকা দিতে দেরী হলেই গুন্ডাবাহিনীর অত্যাচার নেমে আসে পরিবারের উপর।

রফিকুল ইসলাম ওরফে সুদখোর রফির অত্যাচারে নলডাঙ্গা ইউনিয়নের যাত্রাপুর গ্রামের নিহত আক্তারুজাম্মানের মা বলেন, আমার ছেলে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা শোধ করলেও সুদের টাকা পাওনা বলে সুদখোর রফি তার অফিসে ডেকে গুন্ডাবাহিনী দিয়ে মারধর কর পরে অপমানে আমার ছেলে বিষপানে আত্যহত্যা করে। তাই আমরা ন্যায় বিচারের দাবিতে এই সড়ক অবরোধ করেছি।

তথ্য নিয়ে জানা যায়, সুদখোর রফি’র অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে এলাকার প্রায় শতাধিক পরিবার। এর আগে জেলা প্রশাসক বরাবর নির্যাতিত পরিবার অভিযোগ পত্র দিলে জেলা প্রশাসক অভিযোগ আমলে নিয়ে জেলা সমবায় অফিসকে গনশুনানীর আয়োজন করা হয় এতে ভুক্তভুগী এই সকল নিম্ম আয়ের মানুষ গনশুনানীতে আসলে রফির ভাড়াটে গুন্ডাবাহিনী তাদের উপর চড়াও হয়। পরে ডিবির একটি টহল টিম ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। ইতোপূর্বে এই সুদখোর রফি’র বিরুদ্ধে জেলা পত্রিকা সহ জাতীয় বিভিন্ন পত্রিকা ও টেলিভিশনে সংবাদ প্রচার করা হয়। তারপর থেকেই রফির অত্যাচার আরো বেড়ে যায়। যার কারনে বিভিন্ন সময়ে ভাড়াটে গুন্ডাবাহিনী নির্যাতিত এলাকাবাসীর বাড়ি ঘরে হামলা করে।

সুদখোর রফি’র গ্রেফতার ও বিচার দাবীতে সড়ক অবরোধের বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি সোহেল রানা জানান, আমরা তথ্য পেয়েছি, অতিদ্রুত যথাযত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। পরে অবরোধকারীরা মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খুরশিদ আলম জানান, বিষয়টি আমি অবহিত আছি সুদখোর রফি’র গ্রেফতারের জন্য যা যা করা লাগবে তাই করবো বলে আশ্বাস দেন। পরে অবরোধকারীরা সড়ক ছেড়ে দেন।

বার্তাবাজার/এম আই