পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে মৎস্য ব্যবসায়ী রাসাদ খানের হত্যাকারী ঘাতক কর্মচারীর ফাঁসির দাবি তুলেছেন নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী। শনিবার বিকেল ৫ টায় উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের স্লুইস বাজারে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ দাবি তোলেন তারা।

ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচিতে রাসেদের পরিবারের পাশাপাশি স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ এলাকার প্রায় দুই শতাধিক লোক অংশ নেন। এতে বক্তব্য রাখেন, চরমোন্তাজ স্লুইস বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মনির হোসেন প্যাদা, ওয়াহিদ খান রাজ, রাসেল খান, রাশেদ খান রিপন ও আইয়ুব খান প্রমুখ। বক্তারা বলেন, রাসাদ হত্যাকারী ঘাতক ইব্রাহিমের ফাঁসি চান তারা। তাই অনতিবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক এ রায় কার্যকারের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

জানা গেছে, নিহত মৎস্য ব্যবসায়ী রাসাদ চরমোন্তাজ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমোন্তাজ গ্রামের আলতাফ খানের ছেলে। নদী থেকে ট্রলার নিয়ে মাছ ক্রয় করতেন তিনি। ঘটনার দিন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ক্রয় করা প্রায় ২০ মণ মাছ বিক্রি করতে ট্রলার নিয়ে রাঙ্গাবালীর চরমোন্তাজ থেকে গলাচিপা যাওয়ার পথে রওনা দেন রাসাদসহ তিনজন। তাদের মধ্যে রাশেদ নিজে এবং মাঝি হিসেবে ছিলেন ইব্রাহিম ও জামাল মোল্লা। পথিমধ্যে কলাপাড়া উপজেলার চম্পাপুর (ধানখালী) ইউনিয়নের পাটুয়া এলাকা হয়ে গলাচিপা যাওয়ার পথে ক্যারিংবোটের মাঝি ইব্রাহিম হামলা চালায় মালিক রাশেদ ও জামালের ওপর। তাদের মধ্যে জামালের ওপর অতর্কিত হামলা চালালে আত্মরক্ষায় সে নদীতে ঝাঁপ দেয়। পরে আহত জামাল সাঁতরে তীরে উঠলেও খোঁজ মেলেনি রাশেদের। পরে লুট করা মাছ পরদিন ১৬ ফেব্রুয়ারি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিএফডিসি ঘাটে বিক্রি করতে গেলে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় রাসাদের ট্রলারেরই মাঝি হিসেবে কাজ করা কর্মচারী ইব্রাহিম।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এবং ট্রলার থেকে উদ্ধার হওয়া আলামতে জানা যায়, মাছসহ ট্রলার লুট করতে মালিককে কুপিয়ে নদীতে নিক্ষেপ করে কর্মচারী ইব্রাহিম। এরপর থেকেই নিখোঁজ হয় রাসাদ। তবে ঘটনার পাঁচদিন পর ২০ ফেব্রুয়ারি পাথরঘাটানার বিষখালী নদীর নীলিমা পয়েন্ট থেকে রাসাদের অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরআগে ১৬ ফেব্রুয়ারি রাসাদের ভাই আল আমিন বাদী হয়ে রাঙ্গাবালী থানায় কর্মচারী ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।