যশোর সীমান্তে ৪৯ বিজিবির সিপাহী রইশুদ্দীনের মৃতদেহ তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সাহাপাড়া-শ্যামপুর গ্রামের গোরস্থানে দাফন কার্য সম্পন্ন হয়েছে।

গত সোমবার ভোরে বেনাপোল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী (বিএসএফ)-এর গুলিতে সিপাহী রইশুদ্দীন নিহত হলে দুদিন পর মরদেহ ফেরত পায় বিজিবি। যশোর জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে। বুধবার বিকেল ৪টা ২৪মিনিটে মরদেহবাহী একটি হেলিকপ্টার নিহত রইশুদ্দীনের লাশ নিয়ে শিবগঞ্জ স্টেডিয়ামে অবতরণ করে। নিহত রইশুদ্দীনের পরিবারের সদস্যদের নিকট মরদেহটি বুঝিয়ে দেয়ার সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিজিবি ও যশোর ৪৯ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তার পরিবারের সদস্যরা বুঝিয়ে পেলে বিজিবির নিরাপত্তায় সড়ক পথে নিয়ে যাওয়া হয় তার জন্ম ভিটায়। মরদেহ নিজ বাড়িতে পৌঁছালে লাশ দেখতে ঢল নামে হাজার হাজার পুরুষ ও নারীর। উপস্থিত সবার শোকে এলাকা ভারি হয়ে উঠে। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ভবানীপুর গোরস্থানে নিহত রইশুদ্দীনের ২য় দফায় নামাজের জানাযা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার মরদেহ দাফন করা হয়।

উল্লেখ্য, গত সোমবার ভোররাতে শর্শা থানার ধান্যখোলা সীমান্ত এলাকায় বিজিবির সিপাহী রইশুদ্দীন তার উপর অর্পিত দ্বায়িত্ব যথাযথভাবে পালনরত অবস্থায় গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের সাহাপাড়া-শ্যামপুর গ্রামের কামরুজ্জামানের ছেলে। ২০১৫ সালের জুনে যোগ দেন বিজিবির সিপাহী পদে। এরপর থেকে বিভিন্ন ব্যাটালিয়নের অধীনে সীমান্ত রক্ষায় দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ধ্যানখোলা বিওপিতে কর্মরত ছিলেন।

ই.এক্স/ও.আর/বার্তা বাজার