ব্রাহ্মণবাড়িয়া—৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আমাদের গণতন্ত্রে বলে জনগণ ভোটাধিকারের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে। আমাদের সংবিধান বলে জনগণ হচ্ছে সকল ক্ষমতার উৎস। একটা কুচক্রি মহল নির্বাচন বর্জন করেছে। তারা শুধু বর্জন করেই ক্ষ্যান্ত হন নাই। তারা এখন চেষ্টা করছে মানুষ যাতে ভোট কেন্দ্রে না যায়। সময় এসেছে সারা বিশ্বকে প্রমাণ করার।

বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের চাঁনপুর খেলার মাঠে নিবার্চনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের প্রাক্কালে দুস্কৃতিকারীর দল যারা অসহযোগ আন্দোলনের কথা বলে। এইসব লোকেরা প্রচারণা ছড়াচ্ছে আপনারা যাতে ভোট দিতে না যান। ৭ জানুয়ারি ভোট কেন্দ্রে গিয়ে আমাকে ভোট দিয়ে প্রমাণ করে দিবেন আপনারা আমাকে ভালোবাসেন, বাংলাদেশকে ভালোবাসেন।

আনিসুল হক আরও বলেন, আমি আইনমন্ত্রী, সারা বিশ্বের ক্যামেরা ফিট করে রাখছে আমার উপর। কে নাকী বলেছে ‘যত ভোট দিবেন পুরস্কার পাইবেন’। আমি কিন্তু এ কথা বলি নাই। সোস্যাল মিডিয়ায় লিখে দিছে। একটি পত্রিকায় ছাপাই দিছে। সেজন্য বললাম, ক্যামেরা ধরা আছে আমার উপর।

আপনারা আমাকে সত্যিকারের ভালোবাসলে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে কেন্দ্রে গিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে সারা বিশ্বকে দেখাবেন আপনারা আমাকে ভালোবাসেন। ভোট দিয়ে এ দেশের নাগরিক হিসেবে আপনারা নাগরিক কর্তব্যই পালন করবেন না। আপনারা দেখাবেন বাংলাদেশকে বাঙালীরা কত ভালোবাসে।

বিএনপির সমালোচনা করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এই বিএনপি-জামায়াত যখন নির্বাচন করতো। আমরা দেখেছি ভোটারবিহীন হ্যা-না ভোট। কেউ যায় নাই। আমরা দেখেছি ১৯৭৯ সালে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা ভোট। ১৯৮৬ এবং ১৯৮৮ সালে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা ভোট। ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়া জনগণের কোন অংশগ্রহণ ছাড়াই ১৫ ফেব্রুয়ারিতে ভোট করেছিল। যেহেতু জনগণের অংশদারিত্ব ছিল না দেড় মাসের মধ্যে তাকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। আজকে সেটারই ধারাবাহিকতায় তারা যেহেতু ভোট না দিয়ে পাশ করার সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে, তাই আপনাদেরকে ভোট দিতে যেতে নিষেধ করছে। আমি বিশ্বাস করি আপনারা কেন্দ্রে গিয়ে আপনাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন।

তিনি আরও বলেন, আমি আপনাদের সন্তান। আমি আমার দায়িত্ব থেকে একচুলও নড়ি না। কসবা আখাউড়ার উন্নয়নের জন্য যা করা দরকার তাই করবো।

উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মজিবুর রহমান নান্নু ভূইয়ার সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূইয়া, উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান ভূইয়া, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল ভূইয়া ছাত্রলীগের আহবায়ক মেরাজুল ইসলাম শান্ত।

বার্তাবাজার/এম আই