প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা স্থাপন, জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা পদক্ষেপে আস্থা তৈরি এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে জীবন বাঁচাতে মহামারি মোকাবেলায় প্রস্তুতি এবং সাড়া দিতে উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। মঙ্গলবার (৭ মে) গণভবন থেকে ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্যানেল ফর প্যান্ডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস এবং রেসপন্স-এর কো-চেয়ারম্যান ও নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্কের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘মহামারি প্রস্তুতি এবং প্রতিক্রিয়া সম্পর্কিত সংস্কার পরিচালনার ক্ষেত্রে উচ্চ-স্তরের রাজনৈতিক নেতৃত্ব অপরিহার্য। এটি বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার জন্য আওয়াজ তোলে, জনস্বাস্থ্যের হস্তক্ষেপে আস্থা জাগিয়ে তোলে এবং শেষ পর্যন্ত জীবন বাঁচায়। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যত মহামারিজনিত জটিলতা মোকাবেলা করার সময় আরও স্থিতিস্থাপক এবং প্রস্তুত বিশ্ব গঠনে আমাদের একটি শক্তিশালী এবং সিদ্ধান্তমূলক নেতৃত্ব অপরিহার্য হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘অত্যন্ত খন্ডিত বিশ্ব স্বাস্থ্য শাসন ব্যবস্থাকে মহামারি প্রতিরোধ ও সাড়াদানের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জ্ঞান, প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সক্ষমতা জোরদারে আমাদের অবশ্যই সম্মিলিত রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী তাকে আশ্বস্ত করেন যে, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এবং কভিড-১৯ মহামারির প্রভাব মোকাবেলায় অতীতের সাফল্য বিবেচনা করে বাংলাদেশ এক্ষেত্রে গঠনমূলক ভূমিকা অব্যাহত রাখবে। তিনি আরও মতামত দেন রাজনৈতিক নেতৃত্বের সম্পৃক্ততা এবং প্রতিশ্রুতি পদ্ধতিগত পরিবর্তনের জন্য অপরিহার্য যা ‘আমাদের ভবিষ্যতের মহামারি প্রতিরোধ, সনাক্তকরণ এবং কার্যকরভাবে সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা’ বাড়াতে পারে।শেখ হাসিনা বলেন, মহামারি প্রস্তুতি এবং প্রতিক্রিয়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এজেন্ডায় একটি অগ্রাধিকার থাকে উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃত্ব তা নিশ্চিত করেন।