ঘুম হল মানবদেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। এটি শরীরের বৃদ্ধি ও বিকাশ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, মেজাজ ও মনোযোগ নিয়ন্ত্রণ, এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু বর্তমানে, সারা বিশ্বে প্রাপ্তবয়স্কদের ঘুমজনিত সমস্যার হার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কারণ:

প্রাপ্তবয়স্কদের ঘুমজনিত সমস্যার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:

মানসিক চাপ ও উদ্বেগ: মানসিক চাপ ও উদ্বেগ ঘুমের ব্যাঘাতের অন্যতম প্রধান কারণ।

অনিয়মিত জীবনযাপন: অনিয়মিত ঘুমের সময়, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, এবং অনিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম ঘুমের ব্যাঘাতের কারণ হতে পারে।

রোগ বা আঘাত: কিছু রোগ বা আঘাত, যেমন ক্যান্সার, থাইরয়েড সমস্যা, এবং হৃদরোগ, ঘুমের ব্যাঘাতের কারণ হতে পারে।

ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ঘুমের ব্যাঘাত হতে পারে।

অতিরিক্ত caffein বা অ্যালকোহল গ্রহণ: অতিরিক্ত caffein বা অ্যালকোহল গ্রহণ ঘুমের ব্যাঘাতের কারণ হতে পারে।

প্রতিকার:

প্রাপ্তবয়স্কদের ঘুমজনিত সমস্যা প্রতিরোধ বা প্রতিকারের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে:

মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমানো: মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে যোগব্যায়াম, ধ্যান, বা থেরাপির সাহায্য নিতে পারেন।

নিয়মিত ঘুমের সময় ও ঘুমের পরিমাণ নির্ধারণ করা: প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন। বয়সভেদে একজন প্রাপ্তবয়স্কের প্রতি রাতে প্রায় ৭-৯ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন।

নিয়মিত খাদ্যাভ্যাস ও শারীরিক পরিশ্রম করা: নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করুন।
ঘুমের পরিবেশ উপযুক্ত করা: ঘুমের ঘর অন্ধকার, শান্ত, এবং ঠান্ডা হওয়া উচিত। ঘুমাতে যাওয়ার আগে টিভি বা মোবাইল ফোন ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।

ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন থাকা: যদি আপনি কোনও ঔষধ সেবন করেন, তাহলে সেটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানুন। যদি ঘুমের ব্যাঘাত হয়, তাহলে ঔষধের মাত্রা বা ঔষধের পরিবর্তন সম্পর্কে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।

ঘুম হল মানবদেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। ঘুমজনিত সমস্যার কারণে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই, ঘুমজনিত সমস্যা প্রতিরোধ বা প্রতিকারে সচেতন হওয়া এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।

বার্তা বাজার/জে আই