টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সন্ধ্যানপুর ইউনিয়নের খাজারচালা গ্রামের শাহ আলমের সাথে দ্বন্দে জড়িয়ে পরেছে কুশারিয়া গন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।ফলে দাবীকৃত জায়গা নিয়ে দির্ঘদিন যাবৎ উভয়ে পক্ষের ভিতরে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সরেজমিনে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও শাহ আলমের সাথে কথা বলে জানা যায় উপজেলা কুশারিয়া গন উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৯৬ সালে ৪শতাংশ জমির উপরপ্রতিষ্ঠিত হয়। গরে উঠা স্কুলের পাশেই শাহআলমের বাবা হোসেন আলী বন বিভাগের প্রায় ১একর জমি ভোগ দখল করে আসছিল । পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ মাঠ প্রশস্ত করতে শাহাআলমদের ভোগ দখল করা বনের বেশ কিছু জমি জোরপূর্বক তাদের আয়ত্তে নিয়ে নেয়। ২০১২ সালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামাল হোসেন ও উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম নজরুল ইসলাম খান সামু, উভয় পক্ষের মাঝে আলোচনার মাধ্যমে জায়গা ভাগ করে দেন।

বিষয়টি স্কুল কতৃপক্ষ তখন মেনে নিলেও পরবর্তী সেটা মানতে অস্বীকৃতি জানায়।চলতি বছরে প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীনের মদতপুষ্ট স্কুলের শিক্ষার্থী ও বহিরাগত ভারাটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে শাহালমের ভোগ দখল করা জায়গা স্কুল কর্তৃপক্ষ দখলে নিতে গেলে উভয় পক্ষে সংঘর্ষ হয় শাহাআলম ও তার লোকজনদের কে মারধর করে বলে জানাযায়।

সন্ধ্যানপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪,৫,৬,নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সাবেক ইউপি সদস্য ফিরুজা বেগম জানায় প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন খুবই সুচতুর এবং দূর্ণীতি বাজ লোক। তিনি গত ৭নভেম্বর ভারাটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে শাহ আলমের ভোগ দখল করা জমি কাটাতারের বেড়া দিয়ে দখলে নিয়েছে। স্থানীয় মোঃ রাকিব মিয়া ও লেবু মিয়া জানায় প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদিন বিভিন্ন সময়ে শাহালমের ভোগ দখলে থাকা বনের জমি স্কুলের নামে নিতে তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৭ নভেম্বর শিক্ষার্থীদের লেলিয়ে দিয়ে বহিগত ভারাটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে স্কুলের নাম করে বনের জমি দখলে নেয়।
এ বিষয়ে ধলাপাড়া রেঞ্জের বটতলী ও ঝড়কা বিটের দায়িত্বরত বিট কর্মকর্তা হেলালুর রহমান জানান স্কুল কর্তৃপক্ষের সুপারিশে পূর্ব পাশের বনের কিছু অংশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে কুশারিয়া গন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন জানান বন বিভাগ স্কুলের মাঠের জন্য জায়গাটি দিয়ে দিয়েছে আমারা কারো জমি দখল করিনি।

বার্তা বাজার/জে আই