কক্সবাজারের চকরিয়ায় নির্বাচনকে ঘিরে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় পৃথক দুই টি মামলা রুজু করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানসহ দুই মামলায় এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে ৫১ জনকে। অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে ৩৫ জনকে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দুটি লিখিত এজাহার পাওয়ার পর যাচাই-বাছাই শেষে তা মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। তবে এই পর্যন্ত কোন আসামিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। নির্বাচনী শান্ত পরিবেশ বজায় রাখতে মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যারা নির্বাচনের শান্ত পরিবেশ অশান্ত করবে তাদেরকে ছাড় দেওয়ার কোন সুযোগ নেই।

শনিবার (২ নভেম্বর) থানায় রুজুকৃত মামলা দুটির এজাহার সুত্রে জানা যায়, সাহারবিল ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের মাইজঘোনা গ্রামের মুজিবুর রহমান সুজন বাদী হয়ে রুজুকৃত মামলার এজাহারনামীয় উল্লেখ যোগ্য আসামিরা হলেন, সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরী, তাঁর ভাই বাদল মিয়া, সাহারবিল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাপ্পি, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তানবিন ইসলাম সায়মনসহ ২১ জনকে আসামী করা হয়।

ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ হোছাইনের পুত্র মোহাম্মদ আইয়ুবের রুজুকৃত মামলার এজাহারনামীয় ৩০ জনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সাহারবিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চার নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনামুল হক, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান মহসিন বাবুল, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ছরওয়ার আলম প্রমূখ।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ নভেম্বর সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরী বাড়ির সামনে গিয়ে তার বাবাসহ তাকে নিয়ে কটূক্তিমূলক শ্লোগান দেয় প্রতিপক্ষের লোকজন। এর জের ধরে ঘটনার সূত্রপাতের পর ইউনিয়নের রামপুর স্টেশনে দুইপক্ষের মাঝে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। এমনকি চেয়ারম্যান পক্ষের লোকজনের বাড়িঘরেও ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাটসহ তাণ্ডব চালানো হয়। এসব ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও চিত্র তাৎক্ষণিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

বার্তা বাজার/জে আই