সুফল প্রকল্পের সুফল পাচ্ছে থাইংখালীর প্রত্যন্ত অঞ্চলের বনের উপর নির্ভরশীল থাকা নারী-পুরুষরা। টেকসই বন ও জীবিকা প্রকল্পের মাধ্যমে বনের উপর নির্ভর না হয়ে আত্মনির্ভরশীল হচ্ছে শত শত নারী পুরুষ। ফলে ধ্বংসকারীদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে বন ও জীববৈচিত্র্য।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকাল ১১টায় কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জের থাইংখালী বিটের তেলখোলা গ্রামের সুফল প্রকল্পের এফসিভি সদস্যদের সাথে এলডিএফ ও সিডিএফ কার্যক্রম বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সুফল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায়। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আব্রাহাম হোসেন সহ বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদল। মতবিনিময়কালে এফসিভি সদস্য,পেট্রোলিং টিমের সদস্যরা ইউনিফর্ম ও লাঠি প্রদানের দাবি জানান। তাছাড়া সুফলের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল হয়ে লাভজনক খাতে ঋণের টাকা বিনিয়োগ করে বনের উপর নির্ভরতা কমিয়ে বন রক্ষায় সবসময় সজাগ থাকবে বলে জানায় সদস্যরা।

বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়,ঋণ বিতরণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন সহ বনের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে কাজ করছে সুফল প্রকল্প। দুই কিস্তিতে ৪০হাজার টাকা করে প্রতি সদস্যদের মাঝে ঋণ বিতরণ করা হয়। ঋণের টাকায় নিজেদের কর্মসংস্থান নিজেরা সৃষ্টি করে আত্মনির্ভরশীল হচ্ছে শত শত নারী পুরুষ।

এফসিভি সদস্যরা জানায়, “থাইংখালী বিট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশ্ববর্তী হওয়ায় এখানকার বনের গাছপালা কেটে নিয়ে যেতো রোহিঙ্গারা। কিন্তু উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তার নির্দেশে থাইংখালী বিটের সকল কর্মকর্তাদের সাথে আমরা সমন্বিতভাবে ধ্বংসের হাত থেকে বনরক্ষা করি। সুফল প্রকল্পের মাধ্যমে আমাদের বনের উপর নির্ভরতা হ্রাস পেয়েছে। পাশাপাশি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বনরক্ষায় সর্বোচ্চ টা দিয়ে আমরা সবসময় সজাগ থাকি। আমাদের পেট্রোলিং টিম রয়েছে। যারা বনের পাহারা দিয়ে থাকে।”

মতবিনিময় সভা শেষে দুপুর ২টায় থাইংখালী বিটের ২২০ হেক্টর সুফল প্রকল্পের বাগান পরিদর্শন করেন। এসময় ফলজ,বনজ ও ঔষুধি গাছের সৌন্দর্য দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে প্রতিনিধিদলটি। সবুজের সমারোহে মুগ্ধ হন তারা।

পরে উখিয়া সদর বিটের নতুন বাগান পরিদর্শন শেষে সন্ধ্যায় উখিয়া ত্যাগ করেন।

বার্তাবাজার/এম আই