বান্দরবানের লামায় কাঁচা ধানযুক্ত গাছ উপড়িয়ে প্রাইভেট দলিল মূলে ক্রয়কৃত ও ভোগদখলীয় জায়গা জবর দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে লামা পৌর ৫নং ওয়ার্ডের জাকির হোসেন (৫৮) এবং তারই ২ছেলে মো. জহির (৪২) ও আবু তাহের জোবায়ের (৩৮) এর বিরুদ্ধে। এনিয়ে ভুক্তভোগী দলিল আহমদ গতকাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ২৯৫নং লামা মৌজার ২২৫ নং হোল্ডিং শফিকুর রহমান এর ওয়ারিশ নিকট থেকে ১৮০৪, ১৮১০, ১৮১১ দাগ মুলে ৬০ শতক ও তৎ সংলগ্ন ২৩৩ নং হোল্ডিং এর এর প্রজা কাসিম আলীর ওয়ারিশ নিকট থেকে দাগ নং ১৮৩০, ১৮৩১, ১৮৩২, ১৮৩৩ এর আন্দর ৪১ শতক উভয় হোল্ডিং মোট ১.০১ একর জায়গা প্রাইভেট দলিল মূলে ক্রয় করে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে পরিমাপ পরিচিহ্নিত করত: ভোগদখল প্রাপ্ত হয়ে ধান চাষ ও রবিশস্য চাষ করে স্থিত আছেন লামা সদর ইউপির ৫নং ওয়ার্ড মেউলার চরের দলিল আহমদ (৫৩) পিতা. হাজী নূর হোসেন।

তিনি বলেন, বিবাদীগণ ভূমিদস্যু প্রকৃতির লোকজন হওয়ায় দখলীয় জায়গার প্রতি লোভের বশবর্তী হয়ে হুমকি-ধমকির একপর্যায়ে গত ০৪/১০/২৩ ইং সকাল ১১টায় উল্লেখিত বিবাদীগণ সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী লাঠিসোটা নিয়ে আমার ভোগদখলীয় জায়গায় এসে কাঁচা ধান যুক্ত গাছ উপড়ে ফেলে প্রায় ১০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন করে। এমনকি তপশীলুক্ত জায়গা ছেড়ে না দিলে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা ও পথ গতিরোধ করে প্রাণনাশের হুমকি দেন প্রতিনিয়ত।

বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গন্যমান্যব্যক্তিবর্গকে অবগত করিলে বিবাদীগন আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ২নং বিবাদী মো. জহির ফোন করে অকথ্য ভাষায় গাল-মন্দ করেন বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারী দলিল আহমদ। এদিকে অভিযুক্ত জাকির হোসেন বলেন, আমার নামীয় জায়গা থেকে আমি ধান কেটেছি এবং জায়গা আমার দখলে রয়েছে।

লামা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন বলেন, উভয়ের কাগজ রয়েছে। তবে মনে হচ্ছে এক জায়গা দুই বার বিক্রি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে দলিল আহমদের দখলে ছিল জানতাম পরে কি হয়েছে তা আমার জানা নেই।

এবিষয়ে লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামিম শেখ বলেন, ধান কাটার বিষয়টি সত্য। দলিল আহমদ লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আপাতত উভয় পক্ষের লোকজনকে কোন ধরনের অপ্রীতিকর কোন ঘটনা না ঘটানোর জন্য বলা হয়েছে।

বার্তা বাজার/জে আই