গণঅধিকার পরিষদের ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ ২৬শে অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলায় আব্দুস সালাম হলে অনুষ্ঠিত হয়। গণঅধিকার পরিষদের এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ফিলিস্তিনের মজলুম জনগণের জন্য উৎসর্গ করেছে দলটি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর আওয়ামী সরকারের বিদায় ঘন্টা শুরু হবে। সরকার যতই বাঁধা প্রদান করুক, তারা কোনভাবেই এবার তাদের পতন ঠেকাতে পারবেনা। পুরো ঢাকা শহর থাকবে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দখলে।
আমাদের প্রায় ৪০ লাখ নেতাকর্মীর নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। মামলাপ্রাপ্ত সকল নেতাকর্মী ঢাকা শহর দখলে রাখবে। ইতোমধ্যে সরকারের পায়ের নিচে কোন মাটি নেই। সরকার এখন মরণ কামড় দেওয়ার চেষ্টা করছে, এতে সরকার পার পাবেনা। দলমত ভুলে, আসুন আগামী ২৮ অক্টোবর রাজপথে নামুন। বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরো বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর থেকে আমাদের চূড়ান্ত লড়াইয়ে গণঅধিকার পরিষদ সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে মাঠে থাকবে। গণঅধিকার পরিষদের সাথে অসংখ্য তরুণ এবং যুবক রাজনীতি করে। আমি তরুণদের রাজপথে ঝাঁপিয়ে পরার আহবান জানাচ্ছি। তরুণদের হাতেই আগামীর বাংলাদেশ।
সভাপতির বক্তব্যে দলটির আহবায়ক ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, আওয়ামী সরকারের চতুর্মূখী সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক কোন সাপোর্ট নেই এই সরকারের। আমাদের এবারের লড়াই হচ্ছে দেশ এবং জনগণকে মুক্ত করার লড়াই। এবারের লড়াইয়ে আমরা বিজয় ছিনিয়ে এনে তবেই ঘরে ফিরবো। আ’লীগ সরকার এখন তাদের নেতাকর্মীদের লাঠি নিয়ে মাঠে নামার নির্দেশ দিচ্ছে, এতে পরিষ্কার যে আওয়ামীলীগ একটি মাফিয়া দল। কোন রাজনৈতিক দল, এমন আচরণ করতে পারেনা। ড. রেজা কিবরিয়া আরো বলেন, আমরা গণঅধিকার পরিষদ সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে মাঠে থাকবো। আসুন দলমত ভুলে দেশ এবং জনগণকে রক্ষার লড়াইয়ে সবাই ঝাঁপিয়ে পরি।
গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফারুক হাসান বলেন, আগামী ২৮ তারিখ হবে আমাদের চূড়ান্ত লড়াইয়ের সূচনা। আমরা বিজয় না আসা পর্যন্ত এই সংগ্রাম চালিয়ে যাবো। আমরা এদেশের লাখো তরুণ, কেউই ভোট দিতে পারিনি। আমরা আগামী আর ভোটাধিকার হারা হতে চাই না। আমরা আমাদের ভোট দেওয়ার জন্য যা যা করার তাই করবো। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমরা তরুণরা অঙ্গীকারবদ্ধ, দপশকে বাঁচার জন্য কাজ করে যাবো আমরা।
বক্তব্য রেখেছেন এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, এনডিপির চেয়ারম্যান কারী আবু তাহের, এনডিএমের যুগ্ম মহাসচিব হিরা। যুগ্ম সদস্য সচিব আতাউল্লাহ ও শেখ খায়রুল কবিরের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক কর্ণেল অব: মিয়া মসিউজ্জামান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাবিবুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত জাজ শামসুল আলম খান, মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, অধ্যাপক মাহবুব হোসেন। যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান, এডভোকেট শিরিন আকতার, জনাব শামসুদ্দিন। সদস্য মোজাম্মেল মিয়াজি, ইমামউদ্দিন, জিয়াউর রহমান জিয়া, সুমন, যুবনেতা সুহেল মৃধা, রাসেল খন্দকার; ছাত্রনেতা মুনতাসীর মাহমুদ, রুবেল হোসেনসহ প্রমূখ।।
বার্তা বাজার/জে আই
