জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বিয়ের প্রলোভনে ১৮ বছরের এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে উজ্জ্বল হাসান (২২) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত যুবক উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের ফুলবাড়ীয়া (একতা মোড়) এলাকার জুলহাস ওরফে জুলুর ছেলে এবং ভাটারা কলেজের শিক্ষার্থী।

এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুক্তভোগী ওই তরুণী। তার দাবি, তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবেন তিনি।

ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় ১৫ মাস আগে উজ্জ্বল হাসানের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই তরুণী। একসময় ধীরে ধীরে এই সম্পর্ক গভীর হতে থাকে। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা চালান উজ্জ্বল।

সর্বশেষ ১৮ সেপ্টেম্বর তার বাড়ির সন্নিকটে একটি নির্জন স্থানে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন উজ্জ্বল হাসান। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হলে বিয়ের কথা বলা হলে ছেলেটি তার সাথে তালবাহানা শুরু করেন। এরপর তাকে বিয়ে করবে না বলে নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন শুরু করেন উজ্জ্বল হাসান। তাই গত ৭ অক্টোবর সরিষাবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই তরুণী।

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, এখন আমি এই মুখ কাউকে দেখাতে পারছি না। এখন যদি আমাকে সে বিয়ে না করে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।

এ ঘটনায় সরেজমিনে উজ্জ্বল হাসানের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। জানা যায়, থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর থেকে তারা সবাই পলাতক রয়েছে।

তবে উজ্জ্বল হাসানের বড় ভাই রুবেল মিয়া মুঠোফোনে বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বার্তা বাজার/জে আই